নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: চলতি অর্থ বছরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় নদীয়া জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে নদীয়া জেলা প্রশাসন। এর আগে এত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়নি বলেই প্রশাসনের দাবি। ল্যান্ড রেভিনিউ, ইটভাটা, অবৈধভাবে বালি-মাটি পাচারের জন্য জরিমানা আদায়, মিউটেশন-কনভারশন কাজের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজ্য সরকারের কোষাগারে গিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বকেয়া টাকাও আদায় করেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
নদীয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, আমরা সারা বছর রাজস্ব আদায়ে জোর দিয়েছিলাম। পাশাপাশি বকেয়া রাজস্বও আদায় করা হয়েছে। এনিয়ে অল-আউট ঝাঁপিয়ে ছিলাম আমরা। আর তাতেই সাফল্য এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। সেইমতো ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় নবান্ন। জোরকদমে কাজ শুরু হয়। মূলত বকেয়া রাজস্ব আদায়ে জোরে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে অবৈধ বালি ও মাটি পাচার আটকাতে লাগাতার অভিযান হয়। তাতেও ব্যাপক সাফল্য এসেছে। দেখা যাচ্ছে, এই অভিযান থেকে গত অর্থবছরে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছিল। সেখানেই চলতি অর্থবছরে ৬ কোটি ৬ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে।
প্রশাসন সূত্র আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ইটভাটা থেকেই এবছর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ কোটি টাকা। অতীতে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ইটভাটাই সঠিক সময়ে রাজস্ব দেয় না। যার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বকেয়া থেকে যায়। ২০২৪-২৫ সেই সমস্ত ইটভাটাগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন। জেলার ৬০টি ইটভাটার বিরুদ্ধে রাজস্ব না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। পাশাপাশি পোর্টালেও ইটভাটার নাম নথিভুক্তকরণে জোর দেয়া হয়েছিল। যাতে কোনও ইটভাটা রাজস্ব ফাঁকি না দিতে পারে। পাশাপাশি মিউটেশন ও কনভারশনের জন্য ৪ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়াও ল্যান্ড রেভিনিউ হিসেবে কোষাগারে এসেছে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।