মেমারিতে নাবালিকাকে ধর্ষণে সাহায্য করায় পাকড়াও যুবতী
বর্তমান | ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, বর্ধমান: নাবালিকাকে ধর্ষণে যুবককে সাহায্য করায় এক যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিস। ধৃতের নাম সুদীপা মালিক ওরফে বর্ষা। মেমারি থানার করন্দায় তার বাড়ি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে এদিনই বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের তিনদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন পকসো আদালতের বিচারক বর্ষা বনশল আগরওয়াল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানা এলাকায় বছর চোদ্দোর ওই নাবালিকার বাড়ি। ছোট থেকে মামারবাড়িতে থেকে সে বড় হচ্ছে। শনিবার বেলা ২টো নাগাদ সুদীপা নাবালিকার মামারবাড়িতে আসে। মাসির মেয়ের জন্মদিনে তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সে। পরিচিত হওয়ায় নাবালিকা সুদীপার সঙ্গে তার মাসির বাড়িতে যেতে রাজি হয়। তারা দু’জনে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় নাবালিকার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সুদীপাকে ফোনও করা হয়। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নাবালিকাকে তার মামারবাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায় অভিযুক্ত। বাড়ি ফিরে সে কান্নাকাটি শুরু করে। জিজ্ঞাসা করায় নাবালিকা জানায়, রাত ৯টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে সে সুদীপার নিয়ে যাওয়া বাড়ির একটি ঘরে শুতে যায়। তার সঙ্গে সুদীপাও ছিল। কিছুক্ষণ পর ঘরের মধ্যে এক যুবক ঢুকলে সুদীপা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বেরনোর সময় নাবালিকাকে চিৎকার-চেঁচামেচি না করার জন্য শাসায় সে। চিৎকার করলে গলা টিপে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় নাবালিকাকে। সুদীপা চলে যাওয়ার পর নাবালিকার সঙ্গে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই যুবক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্য নাবালিকাকে অভিযুক্ত যুবক হুমকি দেয়। বিষয়টি শোনার পর নাবালিকার পরিবারের লোকজন সুদীপার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। নানা কথা বলে নাবালিকার পরিবারের লোকজনকে সে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এরপরই নাবালিকার পরিবারের তরফে মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছে পুলিস। মেমারি থানার এক অফিসার বলেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে মূল অভিযুক্তের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।