যোগ্য-অযোগ্য তালিকা কবে? জানালই না SSC, রাতভর ধরনায় চাকরিহারারা
প্রতিদিন | ২২ এপ্রিল ২০২৫
শীর্ষ আদালতের রায়ে আচমকা চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাই যোগ্য-অযোগ্য কারা, সেই সংক্রান্ত পৃথক তালিকা প্রকাশের দাবি চাকরিহারাদের। এসএসসি ভবনে বৈঠক এবং বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের সব তথ্য।
রাত ১২.৪৮: চাকরিহারাদের সাফ প্রশ্ন, “তালিকা প্রকাশ না করলে কী করে বুঝব কারা স্কুল যাবেন, কারা যাবেন না? ৩১ ডিসেম্বরের পর আমাদের কী হবে?”
রাত ১২.৩৮: ‘যোগ্য’দের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা, “বাড়ি চলে যান। রাত জাগবেন না। ৩১ ডিসেম্বর অবধি মাইনে পাবেন।”
রাত ১২.৩০: এল র্যাফ। মজুত কাঁদানে গ্যাসও।
রাত ১২.৩০: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, আইনজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত। আপাতত কোনও তালিকা প্রকাশ করা যাবে না। তালিকা প্রকাশ করলে জটিলতা আরও বাড়বে। কাউন্সিলিংয়ের তালিকা প্রকাশ নিয়ে কিছুই জানায়নি কমিশন। সবটাই গুজব।
রাত ১২.২০: ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ-সহ যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার দাবিতে অনড় চাকরিহারারা।
রাত ১২.১৪: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাঁরা স্কুলে ফিরেছেন তাঁরাই বেতন পাবেন। বিবৃতি দিয়ে জানাল এসএসসি। আইনজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত। কিন্তু যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি বিবৃতিতে।
রাত ১১.৫৩: এসএসসি ভবনের শৌচালয়ে ঢুকতে চাইলে চাকরিহারাদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ফের কথা কাটাকাটি। উর্দিধারীর কথায়, “আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। অনেক সহ্য করছি। সহ্যশক্তির আর পরীক্ষা নেবেন না।” পালটা চাকরিহারাদের দাবি, “এখানে শৌচাগার নেই। আমরা কী করব? মারতে হলে একেবারে গুলি করে দিন।” সবমিলিয়ে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি তুঙ্গে।
রাত ১১.২১: আর ১৫ মিনিটের মধ্যে এসএসসি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলে সূত্রের খবর।
রাত ১০.৫৩: আধঘণ্টার মধ্যে বায়ো টয়লেট এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা না করলে এসএসসি ভবনে শৌচাগার ব্যবহার করবেন আন্দোলনকারীরা। হুঁশিয়ারি চিন্ময় মণ্ডলের। তাঁর কথায়, “আটকাতে পারলে আটকে দেখাক। সকাল থেকে না খেয়ে গরমে বসে আছি। ওঁরা তো ভিতরে ঠান্ডা ঘরে বসে। দাবিপূরণ না হওয়া অবধি আমরাও যাব না, ওঁদেরও যেতে দেব না।”
রাত ১০.৪৭: চাকরিহারাদের অভিযোগ, “আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।”
রাত ৮.৪২: পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আইন বিষেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কমিশন। কিছুক্ষণের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
রাত ৮.৩০: ডেডলাইনের পর আড়াই ঘণ্টা পার। এসএসসি ভবনের বাইরে ‘চোর’ স্লোগান।
রাত ৮.২৫: চাকরিহারাদের ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি। আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ চিন্ময় বলেন, “আমি যদি যোগ্য না হয়ে থাকি, আমাকে যদি অযোগ্য বলে চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়, যতদূর যেতে হয় যাব। সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করতে দেব না।” রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হবে, ওঁর সরকার, ওঁর শিক্ষামন্ত্রীর জন্য আজ যোগ্যদের এই পরিস্থিতি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে ২ কোটি টাকা।”
রাত ৮.২০: এসএসসির সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চাকরিহারারা। সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। আপাতত আচার্য সদন ঘেরাও করে রাখবেন তাঁরা।
রাত ৮.১৫: তৃতীয় কাউন্সিলিং পর্যন্ত কারা বৈধ, কারা অবৈধ, সেই তালিকা প্রকাশ করতে পারবে এসএসসি। এমনটাই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। বাকিদের অবৈধ বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে। ফলে চাকরি হারাবেন তাঁরা। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক শেষে আচার্য ভবন থেকে বেরিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল। উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং হয়েছে সাত দফা। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৬ দফা।
রাত ৮.১০: আজ যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ হচ্ছে না। আচার্য সদন ঘেরাওয়ের ডাক চাকরিহারাদের।