আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ৭ মার্চ শুকনার গুলমায় একটি অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে শুকনা থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। তবে ঘটনাস্থলে মৃতের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার খোয়া যায় বলে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। পরবর্তীতে ঘটনার তদন্তে নেমে ১৩ই এপ্রিল মিরিকের পুটুং এর বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী সঞ্জয় গোলেকে গ্রেপ্তার করে শুকনা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। ধৃতকে ছয় দিনের রিমান্ডে এনে খুনের উদ্দেশ্য হিসেবে পুলিশ জানতে পারে আর্থিক লেনদেনের কারণেই সঞ্জয় খুন করে দীনেশ লামাকে। সেই টাকার অঙ্ক সাড়ে চার লক্ষ টাকা। তবে মৃতের শরীরে থাকা সোনার অলংকারগুলি খোয়া যাওয়ার বিষয়ে একাধিকবার ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখে কুলুপ এঁটে রাখে ধৃত। রিমান্ডের শেষ দিন উন্মোচন হল সেই রহস্য। আসামিকে নিয়ে বাগডোগরার মসজিদ পাড়ার একটি স্বর্ণের দোকানে কার্শিয়াং থানার আইসি পলাশ মোহন্তের নেতৃত্বে হানা দেয় শুকনা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ। বাগডোগরার শ্রী কলোনিতে সেই দোকানের মালিকের বাড়িতে চলে পুলিশি অভিযান। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মৃতের হাতের খোয়া যাওয়া একটি আংটি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়, দোকান মালিক গৌতম প্রসাদ ও তাঁর ছেলে সঞ্জয় প্রসাদকে। এদিন তাঁদের গ্রেফতার করে শুকনা তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ।