ধর্মশালা থেকে বাণিজ্যিক বহুতল! পদক্ষেপের নির্দেশ ক্ষুব্ধ মেয়রের
বর্তমান | ২২ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৬৫ এ, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের চারতলা বিল্ডিংটির একতলায় রয়েছে মন্দির। উপরের তলগুলিতে অনেক ঘর। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন দোকান। রবিবার গভীর রাতে সেই বিল্ডিংয়ের চারতলার একটি ঘরে আগুন লাগে। কাপড়ের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল ঘরটি। আগুন ও ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান দুই মাঝবয়সি ব্যক্তি। অভিযোগ, এতবড় একটি ভবনে কোথাও কোনও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত একটি ভবনে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। সামনে এসেছে অনিয়মের আরও এক তথ্য। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার খাতায় এই বিল্ডিং এখনও বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে নথিভুক্তই হয়নি। সেটি একটি ধর্মশালা হিসেবে দেখানো হয়েছে। ধর্মশালাকে কীভাবে রাতারাতি বাণিজ্যিক উদ্দেশে কাজে লাগানো হচ্ছে, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি।
রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যেভাবে ধর্মশালায় রমরমিয়ে ব্যবসায়িক কাজকর্ম চলছে, তা দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র। তখনই তিনি বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। বলেন, ‘পুরসভা, দমকল ও পুলিসের তরফে তদন্ত হচ্ছে। একটি আবাসিক ভবন বা গেস্ট হাউসে এতগুলি শাটার লাগিয়ে কীভাবে কমার্শিয়াল কাজকর্ম চলছে, খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও অবৈধ নির্মাণ হলেও তাও তদন্তসাপেক্ষ।’ সূত্রে খবর, ওই বিল্ডিংয়ের যেখানে যেখানে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে, তা ভাঙতে বলেছেন মেয়র। পাশাপাশি, কমার্শিয়াল বিল্ডিং করার জন্য ওই ভবনে যেখানে যেখানে শাটার লাগানো হয়েছে বা অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলিও ভাঙতে বলা হয়েছে।