সোমবার যোগ্য অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এসএসসির। যদিও সন্ধ্যা পেড়িয়ে গেলেও তালিকা প্রকাশ্যে না আসায় এসএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। চাকরিহারাদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যতদিন না সুরাহা হচ্ছে ততদিন এসএসসি অফিস ঘেরাও করে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী ও এসএসসির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। রাতভর এসএসসির চেয়ারম্যানকে আটকে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা।
জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগের সময় মোট ১২টি কাউন্সেলিং হয়েছিল। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য সাতটি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের জন্য পাঁচটি কাউন্সেলিং হয়। চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করেন, ওই ১২টি কাউন্সেলিংয়ে যাঁরা ছিলেন, সবগুলি থেকে এক জন করে প্রতিনিধি এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছে যাবেন। শেষ পর্যন্ত সোমবার মোট ১৩ জন এসএসসি ভবনে বৈঠক করতে যান। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ভবনের বাইরে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতে পারেন, মোট তিনটে কাউন্সেলিং পর্যন্ত তালিকা দেবে এসএসসি। চতুর্থ কাউন্সেলিং থেকে বাকিদের চাকরি থাকবে না। কমিশন বলছে বাকিরা বেতন পাবেন না। এই নিয়ে এসএসসি ভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। চাকরিহারা শিক্ষক মেহবুব মণ্ডলের অভিযোগ, এই ভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের মিশিয়ে দিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে এসএসসি দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করেন আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ এবং গ্রুপ-সি গ্রুপ-ডি শিক্ষাকর্মী মঞ্চের প্রতিনিধিরা। দুপুর দেড়টা নাগাদ সেই মিছিল এসএসসি দপ্তরের সামনে পৌঁছায়। তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থায় চালিয়ে যাবেন বলে জানান চাকরিহারারা। প্রথমে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি। কিন্তু ৯টা বেজে গেলেও কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর জেরে সন্ধ্যা থেকে এসএসসি ভবনের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার চাকরিহারারা হুঁশিয়ারি দেন, সারা রাত এসএসসি চেয়ারম্যানকে আটকে রাখা হবে। এসএসসি ভবনের সব কটি গেটে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।