সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: অ্যাসিডের ট্যাঙ্কার উলটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দুর্গাপুরে। জাতীয় সড়কের উপর ট্যাঙ্কার উলটে অ্যাসিড বার হতে থাকে। ধোঁয়া ও ঝাঁজাল গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মঙ্গলবার ভোররাতে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশ ও দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করে। ঘটনায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে জাতীয় সড়ক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। মুচিপাড়া উড়ালপুল এলাকার রাস্তায় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ভর্তি ওই ট্যাঙ্কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের ফলে ওই ট্যাঙ্কারটি উলটে যায়। সেটি ফুটো হয়ে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। ঝাঁজাল গন্ধ ও ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ওই এলাকা। ভোররাতে দুর্ঘটনার আওয়াজে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের। ঝাঁজাল গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় শ্বাস নিতেও প্রবল সমস্যা হয় স্থানীয়দের। চোখ জ্বালা শুরু হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অনেকেই ভিজে গামছা নাকেমুখে ঢাকা দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে।
দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। দমকলকর্মীরাও সেখানে গিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় সড়কের আসানসোল ও বর্ধমানগামী লেনে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাড়ির ভিতরেই আটকে ছিলেন চালক ও খালাসি। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে খবর। এরপর শুরু হয় ট্যাঙ্কারের ফুটো হয়ে যাওয়া অংশ মেরামতি। ক্রেন দিয়ে ওই ট্যাঙ্কারটিকে রাস্তার পাশে সরানো হয়। অ্যাসিড নির্গমন বন্ধ করার জন্য জল স্প্রে করা হয়। ওই এলাকাতেও প্রচুর পরিমাণে জল স্প্রে করা হয়। বেশ কিছু সময় পরে ঝাঁজাল গন্ধ কাটতে শুরু করে। ফুটো হওয়া ট্যাঙ্কারটি সারিয়ে ফেলায় আরও বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয় বলে জানানো হয়। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
দুর্গাপুর দমকল বিভাগের সুদীপ্ত চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের কাছে ভোররাত তিনটে কুড়ি মিনিট নাগাদ খবর যায়। আমরা এসে দেখি একটি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বোঝায় ট্যাঙ্কার উল্টে গিয়েছে। চালক এবং খালাসিকে উদ্ধার করি।”