নিরুফা খাতুন: বৈশাখের একটা সপ্তাহ কেটেছে মাত্র। তাতেই গ্রীষ্মের তেজ টের পাওয়া যাচ্ছে বেশ ভালোভাবেই। দুপুরের মাথার উপর সূর্যের চোখরাঙানি তো আছেই, সকাল থেকেও স্বস্তি নেই। রাস্তায় বেরিয়ে ঘামে ভিজে যাচ্ছেন অনেকেই। এই অবস্থায় আরও দুঃসংবাদ শোনাল হাওয়া অফিস। বঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হলেও গরমের দাপট থেকে এখনই স্বস্তি মিলবে না। বরং দহনজ্বালা আরও বাড়বে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হল বলে! ফলে সাবধানে থাকতেই হবে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ থেকেই হু হু করে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। পশ্চিমের জেলাগুলি ফের তাপপ্রবাহের কবলে চলে আসবে। বুধ থেকেই সেখানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা আবহবিদদদের। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভবনা কার্যত আর নেই। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে। এতে অবশ্য অস্বস্তিকর পরিবেশ কাটবে না। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রার পারদ লাফিয়ে বাড়বে অন্তত ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমের পাঁচটি জেলা ? বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।
গত সপ্তাহে সামান্য হলেও কালবৈশাখীর সাক্ষী ছিল দক্ষিণবঙ্গ। ঝড়বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা খানিকটা নিম্নমুখী হয়েছিল। সপ্তাহান্তেও কোথাও কোথাও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সোমবার থেকে আবহাওয়ায় আমূল বদল ঘটেছে। ফের তাপমাত্রা বাড়ছে। সপ্তাহের প্রথমদিন গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে শহরবাসীর। সোমবার শহরে সর্বোচ্চ পারদ ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রর্তার পরিমাণ ছিল ৮৭ শতাংশ। রোদের তেজ আর আর্দ্রতার জোড়া ফলা অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সপ্তাহান্তে গরমের দাপট আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ।
তবে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না। আগামী কয়েকদিন সেখানকার পারদ একই থাকবে। মঙ্গলবার পার্বত্য জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।