রাতভর সল্টলেকের রাস্তায় কেউ বসে, কেউ বা কাগজ পেতে শুয়ে। তাঁরা শিক্ষক, শিক্ষিকা। এতদিন স্কুলে পড়িয়েছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে চাকরিহীন। শিক্ষিকারা অভিযোগ জানিয়েছেন, মহিলাদের বাথরুম করার জায়গাটুকু নেই, নেই জল, নেই খাবার। অন্য দিকে এসএসসি ভবন, অর্থাৎ আচার্য সদনে সারা রাত কেটেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ ২০-২৫ জন কর্মীর। এর মধ্যে কয়েক জন মহিলাও রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
সারা রাত কী চলেছে এসএসসি ভবনের ভিতর? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাতে বিস্কুট খেয়ে ছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান, ভিতরে থাকা কর্মীরা। সকালেও সেই বিস্কুটই ভরসা। যদিও এ নিয়ে নমনীয় মনোভাব আন্দোলনরত চাকরিহারাদের।
চাকরিহারাদের দাবি, চেয়ারম্যানকে আটকে রাখার কোনও ইচ্ছা তাঁদের নেই। বরং তিনি যেন নিজের ভূমিকা যথাযথ পালন করে চাকরিহারাদের এই কঠিন লড়াই থেকে মুক্তি দেন। তাঁরা জানান, খাবার নেই, জল নেই। চেয়ারম্যানই তো জবরদস্তি তাঁদের আটকে রেখেছেন।
‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-র তরফে চিন্ময় মণ্ডল এ দিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা চাই না চেয়ারম্যান বা যে কর্মীরা ভিতরে রয়েছেন, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ুন। খাবার, ওষুধ, পানীয় জল যাতে তাঁদের কাছে পৌঁছে যায়, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব। তাঁরা তাঁদের কাজটা করুন। সরকার, এসএসসি বসে রাস্তা খুঁজে বের করুক যাতে আমাদের সসম্মানে কাজে ফেরানো যায়। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার দরকার নেই, কাজে পুনর্বহাল করে দেখাক।’
তবে শুধু এসএসসির চেয়ারম্যান ও অফিসাররাই নন, সোমবার রাত থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও সচিব-সহ অন্য আধিকারিকরাও করুণাময়ীতে নিবেদিতা ভবনে ঘেরাও হয়ে আছেন।