এই সময়, দুর্গাপুর: পাণ্ডবেশ্বরে দু’টি শিশুর কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে এল ফরেন্সিক দল। সোমবার সকালে দুর্গাপুরে রিজিওনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান তাঁরা। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল দু’টি কুমারডিহি এলাকার বাসিন্দা নিখোঁজ যমজ বোন স্নেহা বাউড়ি ও সিগ্ধা বাউড়ির। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া পোশাক ও জুতোর অবশিষ্টাংশ দেখে পরিবারের লোকেরা দাবি করেছেন, এগুলি স্নেহা ও স্নিগ্ধার।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। তার জন্য কয়েকদিন সময় লাগবে। নমুনা পাঠানো হবে বেঙ্গালুরু বা হায়দারবাদের কোনও একটি ল্যাবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ডিসেম্বর পার্কে খেলতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় স্নেহা ও স্নিগ্ধা নামে ১০ বছরের যমজ বোন। পরের দিন ওই পার্কে স্থানীয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, ওই যুবকের মৃত্যুর সঙ্গে দুই বোনের নিখোঁজ হওয়ার যোগ রয়েছে।
সেই দাবি মেনে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু দু’বোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে এক লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছিল পুলিশ। শনিবার সকালে ওই পার্কের পিছনে একটি পরিত্যক্ত ঝোপ থেকে দু’টি বাচ্চার কঙ্কাল উদ্ধার হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা গোরু চরাতে গিয়ে সেই কঙ্কাল দেখতে পান। খবর পেয়ে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ পুরো জায়গা ঘিরে দেয়। সারাদিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে কঙ্কালের সঙ্গে দু’টি শিশুর পোশাক ও জুতোর কিছু অংশ উদ্ধার করে।
এ দিন নিখোঁজ স্নেহা ও স্নিগ্ধার বাবা বাপি বাউড়ি বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করছে। ডিএনএ টেস্ট করবে বলেও জানিয়েছে। তবে ওই পোশাক ও জুতো দুই মেয়ে স্নেহা ও স্নিগ্ধার।’