এই সময়, দুর্গাপুর: স্কুলের নতুন ভবন তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে পারছে না! কাজ না–হওয়ার কারণটাও চমকে দেওয়ার মতো। যে জমিতে নতুন ভবন তৈরি হবে, সেই জমি–ই এখন দখল হয়ে গিয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলে।
যে জমি দখল করা হয়েছে, সেখান থেকে ওই দখলদারকে সরে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তার পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু না–হলে বাতিল হয়ে যাবে ওয়ার্ক অর্ডার। সঙ্কট বাড়বে স্কুল কর্তৃপক্ষের। বাধ্য হয়ে সোমবার দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য শিক্ষক ও পড়ুয়ারা কোক-ওভেন থানায় গিয়ে ডেপুটেশন দেয়।
১৯৮৫ সালের ঘটনা। এই এলাকায় একটি স্কুল তৈরি করতে ডিপিএল কারখানা কর্তৃপক্ষ চার একর জমি দিয়েছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই চার একর জমির মধ্যে দেড় একর জমি ইতিমধ্যে দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানে তৈরি হয়েছে বিশাল একটি বস্তি। নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুলে এই মুহূর্তে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪২০০। স্বাভাবিক ভাবে স্কুল চালাতে গেলে আরও কয়েকটি নতুন ক্লাসরুম তৈরি করা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। তার জন্যই দখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত পেতে হবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমূল হক এ বিষয়ে এ দিন বলেন, ‘আমি তো পুরো বস্তিকে উচ্ছেদ করার কথা বলিনি। পাঁচিলের ধারে কিছুটা জমি রয়েছে। সেখানে দু’টি পরিবার থাকে। তাদের ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরিবার দু’টি সরছে না। তাই ওয়ার্ক অর্ডার চলে আসার পরেও স্কুলের নতুন ভবন তৈরি করা যাচ্ছে না। নতুন ভবন তৈরির বরাদ্দ ফেরত চলে গেলে আগামী দিনে আমরা কোনও ফান্ড পাব না। তাই আমরা এ বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছি।’
স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অর্চনা কুমারীর মন্তব্য, ‘ক্লাসে জায়গা খুব কম। তার জন্যই নতুন ভবন তৈরি করা হবে। যে দু’টি পরিবার স্কুলের এই জমি দখল করে বাস করছে, তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেছি আমরা। কিন্তু তারা সরছে না। সেই জন্য থানায় এসেছি ডেপুটেশন দিতে।’