ধুলিয়ানে বাবা-ছেলে খুনে জড়িত বাবা-ছেলে! মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে ওড়িশা থেকে আটক মোট ১৫ জন
আনন্দবাজার | ২২ এপ্রিল ২০২৫
গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে আটক হলেন জিয়াউল শেখের দুই পুত্র। সঙ্গে আরও ১৩ জন। সোমবার মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে অভিযুক্ত ওই ১৫ জনকে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া থেকে ধরেছে এসটিএফ।
ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদে বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় ‘মূল চক্রী’ জিয়াউলের দুই পুত্রও রয়েছেন আটকদের মধ্যে। বস্তুত, বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় জিয়াউর এবং তাঁর দুই পুত্রের যোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শনিবার জিয়াউলকে পাকড়াও করা হয় চোপড়া থেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ মেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধুলিয়ানে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার মোট চার জন। তবে জিয়াউলের দুই পুত্রকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে খবর।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে অশান্তি শুরু হয়েছিল দিন কয়েক আগে। ওই আবহে খুন হন জাফরাবাদের বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এসটিএফ। তার পর একের পর এক গ্রেফতারির ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, কাজের জন্য মুর্শিদাবাদের কয়েক জন শ্রমিক ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া যান। তাঁদের কয়েক জন ইদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরেছিলেন। তবে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ এবং অশান্তির পর তাঁরা আবার ওড়িশা চলে যান। তাঁদের মধ্যে দু’জন জিয়াউলের দুই পুত্র।
জাফরাবাদের পাশেই সুলিতলা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা জিয়াউলকে জোড়া খুনে ‘মূল চক্রী’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ-ও জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন হন বাবা-ছেলে।