তেইশে যখন প্রথম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তৈরির সলতে পাকানো শুরু হয়, তখন থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য দেখিয়ে এসেছেন এসপি নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। পরে তিনি বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হিসাবেও মমতাকে তুলে ধরেছিলেন অন্য বেশ কিছু আঞ্চলিক দলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে হিংসার প্রসঙ্গেও তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানাতে দেখা গেল অখিলেশকে।
অখিলেশ বলেছেন, “বাংলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি যে ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি এই ঘটনায় ইন্ধন জুগিয়ে থাকে, তা হলে তারা বিজেপিরই লোক। মুর্শিদাবাদের মতোই উত্তরপ্রদেশের কনৌজে যে হিংসা ঘটেছে, তাতে পুরোপুরি ভাবে বিজেপি যুক্ত। তারা ষড়যন্ত্র করে একটি গরিব মানুষকে নিয়ে এসে তাঁকে দিয়ে ধর্মস্থানে পশুর মাংস ছুড়িয়েছে। আর তার পরেই আগুন লেগেছে।” অখিলেশের আরও বক্তব্য, “বিজেপি নেতারা চান, এই ধরনের ঘটনা সমাজে ঘটতে থাকুক। যাতে আসল সমস্যাগুলি থেকে মানুষের নজর ঘুরে যায়।”
মুর্শিদাবাদ নিয়ে অখিলেশ যাদবের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার চলছে, সেই সরকারের মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন অখিলেশ। এ হল অখিলেশের তোষণের রাজনীতির অভ্যাস। তিনি বরাবর ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশের’ পরিবর্তে কিছু লোকের উন্নতির নীতিতে বিশ্বাসী এবং গোড়া থেকেই দুষ্কৃতীদের মদত দিয়ে এসেছেন।”