• আর্দ্রতার জেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তাপ, চাদরের মতো আটকে জলীয় বাষ্প! হাসফাঁস গরমের ব্যাখ্যা হাওয়া অফিসের
    আনন্দবাজার | ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • এপ্রিলের শুরুতেই গ্রীষ্মের দাবদাহে হাসফাঁস করতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গ। মাঝে দিন কয়েক বৃষ্টি হলেও আপাতত বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই। সঙ্গে বেলা বাড়তেই মাথার উপর চড়চড়ে রোদ। হাওয়া অফিসও জানিয়ে দিয়েছে, উত্তরে বৃষ্টি চললেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ। বরং তাপমাত্রা বাড়বে। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে এক ধাক্কায় ছ’ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? কবেই বা বৃষ্টি নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গে?

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা এইচআর বিশ্বাস আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন, বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকার জন্যই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প রাজ্যে ঢুকছে বটে, তবে সেই জলীয় বাষ্পের বৃষ্টি ঝরানোর ক্ষমতা নেই। অথচ সেই জলীয় বাষ্প ভূপৃষ্ঠের কাছে জমা হয়ে চাদরের মতো হয়ে থাকছে, ফলে তাপ নিঃসৃত হতে পারছে না। বৃষ্টিও হচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গে। অন্য দিকে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতা বেশি থাকছে (৬৪ শতাংশ, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যা ৪০ শতাংশের আশপাশে থাকা উচিত)। এর ফলেই ঘাম হচ্ছে বেশি।

    শুধু তা-ই নয়, হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে গরম হাওয়া পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঢুকছে। এর জেরেও তাপমাত্রা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা আর নেই। বরং ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী ২৬ তারিখের আগে আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। আপাতত সর্বত্র আবহাওয়া থাকবে শুকনো। রবিবার থেকে দু’-একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি বেশি। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি কম।

    উত্তরবঙ্গে অবশ্য বৃষ্টি চলবে। সারা সপ্তাহ ধরেই উত্তরের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বুধবার পর্যন্ত। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের কিছু জায়গাতেও বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)