থার্ড কাউন্সেলিং অবধি চাকরিপ্রাপকদের তালিকা দেওয়া হবে বলে সোমবার এসএসসি ভবন থেকে বৈঠক করে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন চাকরিহারারা। এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই ঝাঁঝ বেড়েছিল আন্দোলনের। অথচ চাকরিহারাদের সেই দাবি মঙ্গলবার খারিজ করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যর দাবি, তাঁরা এমন কোনও কিছু জানেনই না। একই সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির চেয়ারম্যানও এমন কিছু বলেননি বলে দাবি করলেন ব্রাত্য।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘থার্ড ফেজ, ফোর্থ ফেজ নিয়ে আমরা জানিই না কিছু। এসব কথা আমরা বলিনি। এসএসসির চেয়ারম্যানও এটা বলেননি। এটা সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারেও কোথাও লেখা নেই। যা লেখা নেই, তা কাল্পনিক ভাবে ধরে নিয়ে ওরা কেন এটা নিয়ে কথা বলছে জানি না। আর সুপ্রিম কোর্ট আমাদের কোনও তালিকা প্রকাশ করতে বলেনি। আমরা আইনি পরামর্শ পেলেই করব।’
যদিও সোমবার এসএসসি ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা দাবি করেছিলেন, যে সব প্রতিনিধিরা কমিশনের অফিসে বৈঠকে গিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে বার্তা এসেছে। বলা হয়েছে, তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং পর্যন্ত অংশ নেওয়া সব চাকরিপ্রার্থীর তালিকা এসএসসি প্রকাশ করতে পারে। বাকিটা করা হবে না। এ নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু হয় এসএসসির অফিসের সামনে।
মঙ্গলবার ব্রাত্য জানান, বেতন নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। জানান, বুধবার রিভিউ পিটিশনের কথাও। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে ১৭ হাজার ২০৬ জনকে যোগ্য বলে উল্লেখ করেছে বলেও জানান তিনি। চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা, ‘আমাদের কাজ আমাদের করতে দিন। আপনারাও কাজে ফিরুন।’ কিন্তু কারা ফিরবেন কাজে? ব্রাত্যর জবাব, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে নন-টেন্টেডরা স্কুলে যাবেন। এ নিয়ে জলঘোলার তো কিছু নেই।