• থানায় অত্যাচারই করা হয়েছিল সুশ্রীতাদের, বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের
    এই সময় | ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • দুই ছাত্রনেত্রী সুশ্রীতা সোরেন, সুচরিতা দাস-সহ অন্যদের মেদিনীপুর মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ প্রমাণিত, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মঙ্গলবার এই মামলার রায়দান হয়। মেদিনীপুর জেলা মানবাধিকার কোর্টে পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। আইজি মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে গঠিত সিট দু’টি ক্ষেত্রেই তদন্ত চালাবে বলে নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।

    গত মার্চ মাসে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ছিল যাদবপুরের ওপেন এয়ার থিয়েটার (ওএটি)-এ। সেখানে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছাত্র সংসদের নির্বাচন-সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে এসএফআই, রেভোলিউশনারি স্টুডেন্ট ফ্রন্ট (আরএসএফ)-এর মতো ছাত্র সংগঠনগুলি ব্রাত্যর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। এই আবহে অশান্ত হয়েছিল ক্যাম্পাস।

    তারই প্রতিবাদে গত ৩ মার্চ ডিএসও, এসএফআই-সহ বেশ কয়েকটি বাম ছাত্র সংগঠন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। মেদিনীপুর কলেজেও কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। সেখানেই অশান্তির ঘটনায় মেদিনীপুরে মহিলা থানার লকআপে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থক চার মহিলার উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। শুনানি শুরু হয় তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।

    এ দিন হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়, কনস্টেবল কুহেলি সাহা, সুচরিতাকে অত্যাচার করেন থানার ভিতরে। ডিএসপি যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেখানে ভুল তথ্য রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে, কিন্তু সেই তথ্য চাপা হয়েছে রিপোর্টে। এই মামলা আগামিদিনে হিউম্যান রাইটস কোর্টে বিচার হবে। অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয় হাইকোর্ট পরে বিবেচনা করবে। রায়ে উল্লেখ রয়েছে, সুশ্রীতার ক্ষেত্রে পুলিশ মিথ্যে জেনারেল ডায়েরির নথি তৈরি করে ভুয়ো অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট তৈরি করেছে।

  • Link to this news (এই সময়)