এই সময়, শিলিগুড়ি: যানজট কমাতে মহানন্দা নদীর উপরে নতুন সেতু তৈরি করবে এশিয়ান হাইওয়ে-টু কর্তৃপক্ষ। কাওয়াখালিতে নৌকোঘাট এলাকায় ওই সেতুটি তৈরি হবে। এটা নিয়ে সপ্তম সেতু তৈরি হবে মহানন্দায়। ওই এলাকায় আগে থেকেই এশিয়ান হাইওয়ের উপরে একটি সেতু রয়েছে। যানজট বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেতু তৈরির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য সরকারের পক্ষে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সোমবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই সেতু তৈরির ব্যাপারে ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট ডিপিআর) তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মিলেছে। সম্ভাব্য এলাকা পরিদর্শনের পরে দ্রুত কাজ শুরু হবে। শিলিগুড়ির বুক চিরে যাওয়া মহানন্দা নদীর এক পাড়ের সঙ্গে অন্য পাড়ের যোগাযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি শহরের মধ্যে ছ'টি সেতু তৈরি হয়েছে। হিলকার্ট রোড ধরে শহরে ঢোকার জন্য গান্ধী চকে দু'টি সেতু হয়েছে।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কে সেতুর সংখ্যা দুই। শিলিগুড়ি ঝঙ্কার মোড় থেকে মাটিগাড়া এবং জলপাইগুড়ি মোড় থেকে পতিরামে যাওয়ার জন্য আরও দুটি সেতু তৈরি হয়েছে। কাওয়াখালির প্রস্তাবিত সেতুটি হবে সপ্তম। মহানন্দা নদীর উপরে এতগুলি সেতু তৈরির পরেও কাওয়াখালিতে দ্বিতীয় সেতু তৈরির পিছনে কারণ রয়েছে।
এশিয়ান হাইওয়ে মূলত নেপালের পানিট্যাঙ্কি থেকে শুরু হয়ে শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে। এই সড়ক তৈরিই হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগের জন্য। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ও ভুটান এবং নেপালের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্যে কোনও বিধিনিষেধ জারি হয়নি। বরং এশিয়ান হাইওয়ে-২ সড়ক দিয়ে দুই দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যানজট সমস্যা দূর করতে কাওয়াখালিতে মহানন্দা নদীতে দ্বিতীয় সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবিত সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির ব্যাপারেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে মেয়র ওই এলাকা পরিদর্শন করবেন। কেননা, সেতুর পশ্চিম দিকে জমির সমস্যা না-থাকলেও পূর্ব দিকে পুরসভার এসটিপি ছাড়াও জনবসতি, সরকারি দপ্তর এবং সরকারি বাসভবন রয়েছে। মেয়র এলাকাটি পরিদর্শনের পরেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।