আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহে ধাক্কা বাঁকুড়ার পর্যটনে। জেলার তিনটি প্রধান পর্যটনকেন্দ্র, মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া পাহাড় এবং বিহারীনাথ—তীব্র গরমের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কপালে হাত পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের।
মুকুটমণিপুর, যাকে ‘বাঁকুড়ার রানি’ বলা হয়, তার কংসাবতী জলাধারের নীল জল, ছোট-বড় টিলা, হরিণের দ্বীপ এবং পাহাড়চূড়ায় শিবমন্দির সবই পড়ে রয়েছে পর্যটকদের অপেক্ষায়। গরমের চোটে মুকুটমণিপুর খাঁ খাঁ করছে। নৌকো চালকদের আয় বন্ধের মুখে। কারণ হাতে গোনা যে ক’জন আসছেন, তাঁরাও নৌকা বিহারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথর শিল্পীদের অবস্থাও একই রকম। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে পর্যটকরা আসছেন না। পুজো-পার্বণে সামান্য লোকসমাগম হলেও ব্যবসা জমছে না। শুশুনিয়ার শিল্পীরা জানিয়েছেন, গরমে শ্রমিকরাও কাজ করতে পারছেন না। ফলে আয় কমে গিয়েছে।
একই ছবি বিহারীনাথেও। ধর্মের টানে কিছু পর্যটক এলেও, সেরকম ভাবে ঘুরতে আসা পর্যটকদের দেখা নেই। এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজের খোঁজে অন্যত্র যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকে সেখানেও সুযোগ পাচ্ছেন না।
এই অবস্থায় সরকার ও পর্যটন দপ্তরের সক্রিয় হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয় বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।