• ভ্যাপসা গরমে গলদঘর্ম দশা, এরকম কত দিন চলবে? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
    আজ তক | ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • বৈশাখের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অস্বস্তিকর গরমে। মাথার উপর রোদ্দুরের প্রচণ্ডতা আর বাতাসে আর্দ্রতার জোড়া প্রভাবে ঘর থেকে বাইরে পা রাখাই দায়। যদিও সম্প্রতি কিছু জায়গায় কালবৈশাখী ও হালকা বৃষ্টির দেখা মিলেছিল, তবে আবহাওয়ার সেই স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হলো না।

    আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে। বিশেষত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে আগামী কয়েক দিন তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে গরমের তীব্রতা চরমে উঠতে পারে।

    সপ্তাহের প্রথম দিনেই কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সঙ্গে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ। মঙ্গলবার বিকেলে কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, তাতে তেমন স্বস্তি মিলবে না বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বরং বৃষ্টি শেষে আর্দ্রতা আরও বেড়ে যাওয়ায় গরম আরও বেশি অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে।

    আবহাওয়াবিদদের মতে, মঙ্গলবার থেকে গড় তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা।

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমে রোদে বেশি সময় বাইরে না থাকার পাশাপাশি, শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলছেন তাঁরা।

    সব মিলিয়ে বলা চলে, কালবৈশাখীর কিছুটা স্বস্তি মিললেও দক্ষিণবঙ্গে গরমের দাপট আপাতত কমার নয়। তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পরিকাঠামো ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থারও প্রস্তুত থাকা জরুরি।

     
  • Link to this news (আজ তক)