সাত সকালে পেপার দেন যিনি, তিনিই কলিং বেল মেরে জানান, বাড়ির পাশের ড্রেনে একটা ট্রলিব্যাগ পড়ে। তখনও বাগুইআটির প্রতিবেশী পাড়ার বাসিন্দা কৌস্তভ কুণ্ডু ভাবতে পারেননি, সেই ট্রলিতে কোনও মহিলার দেহ থাকতে পারে। মঙ্গলবার সকালে বাগুইআটিতে এই খবরে হইচই পড়ে যায়। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। সরু রাস্তা, গাড়িও আসে না যেখানে, এমনকী ড্রেনটিও খুব বড়, এমন নয়। কে বা কারা, এত বড় ট্রলিব্যাগ এখানে ফেলে গেল, বুঝেই পাচ্ছেন না তাঁরা।
এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ এই ট্রলির খবর চাউর হয়। বাগুইআটি থানার পুলিশ হাজির হয় সেখানে। ড্রেন থেকে তোলা হয় ট্রলিটি। স্থানীয় বাসিন্দা কৌস্তভ কুণ্ডুর কথায়, ‘সকালে পেপার দেন যিনি, তিনিই কলিং বেল মেরে বলেন, দাদা তোমাদের ড্রেনে একটা স্যুটকেস পড়ে আছে। মনে হচ্ছে কিছু আছে। এর পর আমি নেমে এসে দেখি ড্রেনে একটা ট্রলিব্যাগ পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে ট্রলি তুলে চেনটা একটুখানি খুলতেই দেখে একটা দেহ রাখা। একজন মহিলার বডি।’
তবে এ দেহ এলাকার কারও নয় বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। এলাকাবাসীর একাংশ বলছেন, একেবারে সিনেমার মতো মনে হচ্ছে। তাঁরা ভাবতেই পারছেন না, এ পাড়ায় এমন কাণ্ড ঘটতে পারে। এলাকার লোকজন জানান, এই জায়গা বরাবরই শান্ত। সন্ধ্যার পর কিছুটা ফাঁকা হয়ে গেলেও, এমন ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।
এক বাসিন্দার কথায়, এই সরু রাস্তায় বাইক বা রিকশা চলাচল করে, চার চাকার গাড়িও খুব একটা আসে না। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অন্য কোথাও খুন করে দেহটি এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। কী ভাবে এখানে তা আনা হলো, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তদন্তকারীদের নজরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।