প্রদ্যুত দাস: শহর সংলগ্ন চা বাগানে এখন অকাল দীপাবলি! চা পাতা তোলার আগে দীপাবলির মতো ফাটছে আতশবাজি! বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ির ভান্ডিগুড়ি চা বাগানে। আতশবাজির ঝলকানি আর টিনের কোলাহলে মুখর বাগান যেন হয়ে উঠল ‘অকাল দীপাবলি’র মঞ্চ। তবে আনন্দ নয়, এর পেছনে রয়েছে চরম আতঙ্ক—লেপার্ড বা চিতা বাঘ। কড়া পাহারায় বনদপ্তরও।
সম্প্রতি বাগানের ৬০ নম্বর সেকশনে এক চা শ্রমিকের উপর হঠাৎই ঝাঁপিয়ে পড়ে লেপার্ড। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন তিনি। শ্রমিকদের দাবি, লেপার্ড হামলার পর ৬১ নম্বর সেকশনে গা ঢাকা দেয়। বনদফতর খাঁচা পাতলেও এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি লেপার্ড। ফলে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ৬০ ও ৬১ নম্বর সেকশনে কোনও শ্রমিকই কাজ করতে রাজি হননি। অন্যান্য সেকশনে কাজ শুরু হলেও শ্রমিকরা শুরুতেই বাজি ফাটান, টিন বাজান—চেষ্টা করেন বন্য প্রাণীকে দূরে রাখার। তবে সমস্যা তৈরি হয় অন্যখানে।
শ্রমিকদের একাংশ জানান, বনের মাঝে বসবাস ও জীবিকার টানাপড়েন যেন প্রতিদিন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় শ্রমিকদের সামনে। গতরাতেও চা বাগানে বনকর্মীদের সঙ্গে রাত জেগে কাটিয়েছেন শ্রমিকরা। তারই প্রস্তুতি চলছে রাতজাগার। অকাল দীপাবলির আলোয় তাদের মনে বিঁধে রয়েছে চাপা আতঙ্ক, আর মনে একটাই প্রার্থনা—লেপার্ড যেন ধরা পড়ে, খানিক হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন ফেলতে পারেন চা শ্রমিকেরা! তবে বনদপ্তর সূত্রে জানা যায় বনদপ্তরের কর্মীরা এলাকায় পেট্রোলিং চালিয়ে যাচ্ছে।