‘জেলা সভাপতিকে স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছি,’ বিস্ফোরক গৃহবধূ! বিজেপির অন্দরের ‘কেচ্ছা’ প্রকাশ্যে
প্রতিদিন | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই চলছে জলঘোলা। একাধিক জেলার গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এসেছে! সেই আঁচ পড়েছে নদিয়া দক্ষিণ সাংগাঠনিক জেলাতেও। তবে নতুন সভাপতি অপর্ণা নন্দীর বিরুদ্ধে স্থানীয় বিজেপি নেতার সঙ্গে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক ও তা জেনে ফেলায় নেতার স্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধূর কথায়, “স্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখেছি। সেই থেকে আমাকে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে।” পাশাপাশি তাঁকে জেলা সভাপতি হিসাবে না মেনে একাধিক পোস্টার পড়েছে এলাকায়।
অপর্ণা নন্দী নবদ্বীপের বাসিন্দা। এই এলাকা রানাঘাট লোকসভার মধ্যে পড়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ছিল। লোকসভা ভোটের আগে নবদ্বীপ বিধানসভাকে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার অধীনে নিয়ে আসা হয়। অপর্ণাকে জেলা সভাপতি পদে বসানো হয়। তারপর থেকেই বিজেপি পার্টি অফিস সংলগ্ন বেশ কয়েকটি এলাকায় অপর্ণার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। ‘অপর্ণা নন্দীকে জেলা সভাপতি মানছি না, মানব না,’ ‘মহিলা সভাপতি না দিয়ে যুবদের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে’-সহ একাধিক দাবি তুলে পোস্টার পড়েছে।
এরই মধ্যে নবদ্বীপের এক গৃহবধূ তাঁর সংসার ভাঙার অভিযোগ করেছে বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, “স্বামীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলেছিলাম ওই মহিলাকে। সেই থেকে আমাকে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মহিলাকে জেলা সভাপতি থাকলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। অন্যদিকে, অপর্ণা নন্দী জানান, “আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে কালিমালিপ্ত করতে কেউ বা কারা এই চক্রান্ত করছে। ঘটনায় বিরোধী দলের ভূমিকা থাকতে পারে।”
এই বিষয়ে বিজেপির রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা বিজেপির কালচার নয়। আমাদের দলের পরিকাঠামো অনুযায়ী পরিবর্তন হতেই পারে। সেই অনুযায়ী কেউ আসবেন, কেউ যাবেন। এটাই দলের পদ্ধতি। আমাদের দলের কেউ এটার সঙ্গে যুক্তই নন।”