• মেদিনীপুর কলেজের দুই ছাত্রীর ‘নির্যাতন’: সিট গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের, নেতৃত্বে মুরলী
    আনন্দবাজার | ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • মেদিনীপুর কলেজের দুই ছাত্রীকে ‘নির্যাতনে’র ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, সেই সিটের নেতৃত্বে থাকবেন আইপিএস অফিসার মুরলী ধরই। এর আগে এই মামলায় মুরলীকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে স্পষ্ট যে, এক ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরেছিল পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী কুহেলি সাহার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। হাই কোর্ট জানিয়েছে, পুরো ঘটনার বিচার চলবে মেদিনীপুর মানবাধিকার আদালতে। ক্ষতিপূরণ-সহ মামলার বাকি আবেদন পরবর্তী শুনানিতে বিবেচনা করা হবে।

    সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের সংগঠনের সম্মেলন ঘিরে হইচই হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গা়ড়ির নীচে এক ছাত্র চাপা পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদে এসএফআই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। অভিযোগ, এই ধর্মঘটের সমর্থনে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পৌঁছতেই কয়েক জন প্রাক্তন পড়ুয়াকে জোরজবরদস্তি থানায় তুলে নিয়ে যায় মেদিনীপুর মহিলা থানার পুলিশ। ওই পড়ুয়ারা এসইউসিআই-এর ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র সদস্য। অভিযোগ, থানার ওসি সাথী বারিক ওই পড়ুয়াদের জ্বলন্ত মোমবাতি দিয়ে ছেঁকা দেন। নির্যাতন করে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন পড়ুয়া। সেই আবেদন শুনে বিচারপতি ঘোষের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া হোক। সেই দায়িত্ব তিনি দিয়েছিলেন আইপিএস অফিসার মুরলীকে। রিপোর্টের ভিত্তিতে এফআইআইরের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানায় উচ্চ আদালত। রিপোর্ট পাওয়ার পরে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ছাত্রীর উপর নির্যাতন হয়েছে। তার পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ঘোষ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)