• ভূতনিতে বাঁধ নির্মাণে জটিলতা কাটাতে বৈঠক, ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড় জমির মালিকরা
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকে ভূতনিতে জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে বন্ধ বাঁধ নির্মাণের কাজ। সেই জট কাটাতে মঙ্গলবার জমিদাতাদের সঙ্গে মানিকচক ব্লক প্রশাসনিক ভবনে প্রশাসনিক বৈঠক হল। মালদহ জেলা প্রশাসন ও ব্লক আধিকারিকের পাশাপাশি বিধায়কের উপস্থিতিতে বৈঠকে ক্ষতিপূরণের টাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।

    মানিকচক ব্লকের ভূতনিতে গত বছর বন্যায় কেশরপুর কালুটোনটোলা গ্রামে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ। রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের উদ্যোগে কয়েক কোটি টাকায় প্রায় ২৪০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। তবে শুরুতেই বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ২৪০০ মিটার বাঁধ নির্মাণে যে জমি প্রয়োজন, তার মধ্যে ১৯০০ মিটার রায়তি জমি রয়েছে। জমির মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবে স্থানীয়দের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ না পাচ্ছেন, বাঁধের কাজ শুরু করা যাবে না। এই জট কাটাতে এদিন বৈঠক করা হয় মানিকচকে। উপস্থিত ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্র মিত্র, মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবহুতি ইন্দ্র, বিডিও অনুপ চক্রবর্তী সহ সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিক, ভূমি দপ্তরের আধিকারিক সহ ভূতনি ও রতুয়ার জমিদাতারা। এদিন বাঁধের কাজ শুরু করতে দেওয়ার আবেদন জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। কিন্তু ক্ষতিপূরণের টাকা না পেলে কাজ করতে দিতে রাজি নন জমিদাতারা। বৈঠকের মাঝেই সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে ফোন করেন সাবিত্রী মিত্র। জমিদাতারা যাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তাড়াতাড়ি পান, সেই আবেদন জানান তিনি। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। স্থানীয় চাষি রামলাল চৌধুরী বলেন, আমাদের দাবি প্রথমে টাকা, তারপর কাজ। আগে বাঁধ নির্মাণে জমি দিলেও ক্ষতিপূরণ পাইনি। আজকের বৈঠকে সমাধানসূত্র বের হয়নি।

    সাবিত্রী মিত্র বলেন, ভূতনি ও রতুয়ার কিছু অংশের প্রায় ৮৬ জন জমিদাতার ক্ষতিপূরণের টাকা কাজ চলাকালীন মিটিয়ে দেওয়া হবে। কাল থেকে জমির মাপজোখের কাজ শুরু করবে সেচ দপ্তর।
  • Link to this news (বর্তমান)