সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বাংলায় স্নাতক যুবক মাশরুম চাষ করে স্বনির্ভর। হিলির বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওপাড়ার বিকর্ণ বর্মনের চাষ করা মাশরুম পাড়ি দিচ্ছে ভিনরাজ্য এবং নেপাল, ভুটানের মতো দেশে। ৫০ সিলিন্ডার দিয়ে শুরু করে বর্তমানে ৬ হাজার সিলিন্ডার মাশরুম চাষ করছেন তিনি। বাড়িতে বানিয়েছেন বিশেষ ল্যাবরেটরি। সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে বীজ। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা এসে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নেন বিকর্ণর কাছে।
বিকর্ণ বলেন, মাশরুম চাষ খুবই সহজ। এই চাষে বেশ লাভ রয়েছে। কৃষকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে অল্প পুঁজিতে মাশরুম চাষ করে লাভবান হতে পারেন।
বিকর্ণ ২০০৭ সালে বালুরঘাট কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক হয়েছেন। স্নাতকোত্তর পড়ার সময় পারিবারিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা ছাড়তে হয়। চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষিকাজে মন দেন। পতিরামের মাঝিয়ানে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালে ৫০ টি সিলিন্ডারে মাশরুম চাষ শুরু করেন। সফল হওয়ার পর এখন বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার সিলিন্ডার। একটি সিলিন্ডারে ৪০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। একমাসে একটি সিলিন্ডার থেকে প্রায় দু’কেজি মাশরুম হয়। যার বাজার দর ১২০ টাকা কেজি। মূলত শুকনো মাশরুম নেপাল, ভুটানে বেশি পাঠানো হয়। তার দাম প্রায় প্রতি কেজি ৯০০ টাকা। মাশরুম চাষের জন্য উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। ঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা বা বাড়িতে মাশরুম উৎপাদন করা যায় সহজেই। ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে মাশরুম ফুটতে শুরু করে। হিলি কৃষি দপ্তরের আধিকারিক আকাশ সাহা বলেন, বিকর্ণ একজন সফল মাশরুম চাষি। তাঁর ফার্মে অন্য কৃষকদের নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিকর্ণ বর্মন। -নিজস্ব চিত্র