নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: গ্রামের রাস্তায় আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ। তা অমান্য করলেই গুনতে হবে জরিমানা। যা ৫০০ টাকা। শুধু তাই নয়, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক, থার্মোকলের বিক্রি ও ব্যবহার রুখতেই একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গ্রামীণ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেই এমন নয়া উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত। ইতিমধ্যে তারা এজন্য দু’টি কমিটিও গঠন করেছে।
পঞ্চায়েতের প্রধান যূথিকা রায় খাসনবিশ বলেন, সর্বদা পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে ও গ্রিন ভিলেজ গড়তেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে গ্রামের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনই সুস্থ পরিবেশ গড়ে উঠবে। দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হবে। পঞ্চায়েত আইন অনুসারে এ ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে উপবিধি তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার অভিযানও চলছে।
শিলিগুড়ি শহরের পাশেই আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত। বেশ কয়েক বছর আগে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এজন্য পুরসভার মতো গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করছেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। তা সত্ত্বেও গ্রামের রাস্তা, জমি, জাতীয় সড়কের পাশে, নিকাশি নালা ও জলাভূমিতে জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে। এর জেরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামের কিছু রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে। এবার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে তারা উপবিধি তৈরি করে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলা নিষিদ্ধ করেছে।
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, গ্রামের রাস্তা, জমি সহ যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা যাবে না। এমনকী, খোলা আকাশের নীচে যেখানে সেখানে প্রস্রাব করা যাবে না। তা হলেই অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হবে। এজন্য গ্রাম স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিধান কমিটি ও নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি সংসদে সংশ্লিষ্ট দু’টি কমিটি রয়েছে। পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক বলেন, সংশ্লিষ্ট দু’টি কমিটি ওই জরিমানা আদায় করবে।
এছাড়াও জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য প্রতিটি বাড়ি থেকে মাসে ১০০ টাকা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং অনুষ্ঠানের বর্জ্য সংগ্রহের জন্য এককালীন এক হাজার টাকা কর আদায় করা হবে। নিয়মিত শুকনো ও ভেজা নোংরা সংগ্রহরে জন্য প্রতিটি বাড়িতে দু’টি করে বালতি বিতরণ করা হবে।
মাটিগাড়া ব্লকের অধীনে থাকা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার অবাধে চলছে বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। পঞ্চায়েতের এক কর্তা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৪০ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের বক্স ক্রয়-বিক্রয় করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রেও অভিযুক্তদের কাছ থেকেও জরিমানা বাবদ আদায় করা হবে ৫০০ টাকা। নিজস্ব চিত্র।