• কুম্ভমেলার জন্য তুলে নেওয়া ছ’টি মেমু ট্রেন আবারও চালানোর দাবি
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: কুম্ভমেলার জন্য পূর্বরেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখা থেকে ৬ জোড়া মেমু ট্রেন তুলে নেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, মেলা শেষ হলেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মেলা শেষ হয়েছে প্রায় দু’ মাস হতে চলল। কিন্তু ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি মেমু ট্রেন। পরিবর্তে চালানো হচ্ছে ইএমইউ ট্রেন। ওইসব ট্রেনে শৌচাগার না থাকায় লালগোলা থেকে শিয়ালদহ পৌঁছতে চরম সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। অভিযোগ, রেলের আধিকারিকদের কাছে এই বিষয়ে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। রেলের এই খামখেয়ালিপনায় রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি রেলের নজরে আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটবে। 

    পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা শিয়ালদহ-লালগোলা। রেল পথে লালগোলা থেকে শিয়ালদহের দূরত্ব ২২৭ কিমি। যেতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। বর্তমানে ওই শাখায় এক্সপ্রেস মিলিয়ে মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। কুম্ভমেলার আগে ওই শাখায় ৬ জোড়া কনভেনশনাল ট্রেন, ৫ জোড়া ইএমইউ এবং ৬ জোড়া মেমু ট্রেন চলাচল করত। অভিযোগ, কুম্ভমেলার নামে সব ক’টি মেমু ট্রেন তুলে নিয়ে পরিবর্তে ওই শাখায় ইএমইউ ট্রেন চালানো শুরু হয়। তারপর এখনও পর্যন্ত মেমু ট্রেন দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, ইএমইউ ট্রেনে শৌচালয় থাকে না। ফলে একটু বেশি দূরত্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্করা চরম ভোগান্তির শিকার হন। ভগবানগোলার বাসিন্দা কেরামত শেখ বলেন, চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন মুর্শিদাবাদের লালগোলা, ভগবানগোলা সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ কলকাতায় যান। শৌচালয় না থাকায় ওই দীর্ঘ পথ যেতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। লালগোলার দিলদার শেখ বলেন, মেমু ট্রেন তুলে নেওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে মুর্শিদাবাদবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রেল যাত্রীদের সুলভ পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দের দিকে নজর দিক। রেলের এই খামখেয়ালিপনা নিয়ে এর আগেও সরব হয় রেল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব লালগোলা। তারা এই বিষয়ে একাধিকবার রেল কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি লালগোলা স্টেশন পরিদর্শনে আসেন শিয়ালদহ শাখার ডিআরএম দীপক নিগম।  সংগঠনের আহ্বায়ক রাজেন তাঁতের বলেন, বিষয়টি ডিআরএমকে জানানো হয়। কুম্ভমেলা শেষ হলেই ওই শাখায় আগের মতো মেমু ট্রেনগুলি চালানো হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি। গত সোমবার সংগঠনের পক্ষ থেকে ফের রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবিলম্বে রেল ওই শাখায় মেমু ট্রেন চালু করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)