• সিউড়িতে পাচারের আগে ৪টি গাড়ি থেকে ৩৭ গোরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১২
    বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচারের ছক! গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের ছক ভেস্তে দিল বীরভূম জেলা পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সিউড়ির পুরন্দরপুর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি ছোট হাতি গাড়ি থেকে মোট ৩৭টি গোরু উদ্ধার করা হয়েছে। পাচারের ঘটনায় চারজন গাড়িচালক সহ মোট ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা সকলেই বীরভূম জেলার বাসিন্দা। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তাদের তরফে এদিনই উদ্ধার করা গোরু ও ধৃতদের সিউড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 

    এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিএসপি স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, ধৃতরা বৈধ নথি দেখাতে পারেনি। গোরুগুলি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

    পুলিস ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধরপাকড়ের জেরে একসময় গোরু পাচারের ঘটনায় ভাটা পড়েছিল। ফের পাচারকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি জেলার নানা প্রান্তে গোরু উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এদিনও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। ঘটনায় জেলা পুলিসের কর্তারা কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। প্রাথমিকভাবে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের তরফে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বড়জোড়া পশুহাট থেকে গোরুগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল। বীরভূমের পথ ধরে প্রথমে গোরুগুলি মুর্শিদাবাদ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল। ছোট চারচাকা মালবাহী গাড়িতে করে গোরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তাদের নজর এড়াতে পাচারকারীরা ভোরবেলায় মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। 

    এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, ধৃত সকলেই মূলত ক্যারিয়ার। টাকা লাভের আশায় তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গোরু পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে এধরনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোরু পাচারের নেপথ্যে কারা জড়িত রয়েছে তা জানতে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)