সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: সকালে দোকান খুলে পুজোর জল আনতে বাইরে গিয়েছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেই সুযোগে দোকান থেকে সোনার গয়না ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিল এক দুষ্কৃতী। নগদ টাকা সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সমগ্রী চুরি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আকস্মিকতায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন দোকানের মালিক। পরে সুস্থ হয়ে ঝালদা থানাতে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানাগিয়েছে, ঝালদা শহরের মেন রোড এলাকাতেই সোনার দোকান রয়েছে উৎপল কুমার চন্দ্রের। মূলত অন্যান্য জায়গার অর্ডার অনুযায়ী গয়না তৈরি এবং কিছু গয়না দোকান থেকেও বিক্রি করতেন উৎপলবাবু। সোমবার সকালে অন্যান্য দিনের মতোই দোকান খোলেন তিনি। তারপরই চুরির ঘটনাটি ঘটে। এবিষয়ে উৎপলবাবু বলেন, সকালে দোকান খোলার পর দোকান পরিস্কার এবং বাইরের জায়গাটা জল দিয়ে অন্যান্য দিনের মতোই ধোওয়া হয়। তারপর দোকানের ভেতরে থাকা একটি লোহার আলমারির ওপরের শোকেসে গয়না ও নগদ ভর্তি ব্যাগটি রেখেছিলাম। তারপরই পুজোর ঘটিতে জল আনার জন্য দোকানের সামনেই থাকা একটি কলে জল ভরতে যাই। সেখান থেকে ফিরে এসে পুজোর ঘটের জল রেখে কাজ শুরুর জন্য গয়নার ব্যাগটি নিতে গিয়ে দেখতে না পেয়ে হতবাক হয়ে যাই। ব্যাগটি উধাও। দোকানের সর্বত্র খুঁজেও ওই ব্যাগের কোনও হদিশ পেলাম না। আশেপাশের দোকানেও জিজ্ঞাসা করি দোকানে কেউ ঢুকেছিল কিনা। তারাও কিছু বলতে পারেননি। তারপরই পাশের একটি দোকানে থাকা সিসিটিভি দেখি। ওই সিসিটিভি দেখেই জানতে পারি, জল আনার জন্য দোকান থেকে বেরিয়ে কয়েক পা যেতেই অন্য একজন দোকানে ঢোকে। ওই ব্যাগটি নিয়ে যায়। সিসিটিভি দেখেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে সুস্থ হয়ে ঝালদা থানাতে লিখিত অভিযোগ করা হয়। উৎপলবাবু আরও বলেন,অর্ডার হিসাবে তৈরির জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেওয়া গয়নার পাশাপাশি নগদ টাকাও ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী ছিল। পুলিসকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে একদিন পরেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি বলেই জানতে পেরেছি। ছোট দোকানের সমস্ত জিনিষ ওই ব্যাগের মধ্যেই থাকতো। সেটাই চুরি হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যায় রয়েছি। দ্রুত ওই সামগ্রীগুলি উদ্ধারের পাশাপাশি দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানান অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও।