পর্যটকরা আর কাশ্মীরে আসবেন? সন্দেহ ট্যুর অপারেটরদের
বর্তমান | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর কাশ্মীর ট্যুরে ‘কালো মেঘ’ দেখছে দেশের নামী পর্যটন সংস্থাগুলি। তারা একবাক্যে জানিয়েছে, পর্যটকদের উপর হামলা গভীর উদ্বেগের। সামনে গরমের ছুটি। এই মরশুমে কতজন আদৌ কাশ্মীরে যাওয়ার ঝুঁকি নেবেন, এদিনের ঘটনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার জেরে আতঙ্কিত পর্যটক ও পর্যটন সংস্থাগুলি। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্সের চ্যাপ্টার চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্ত বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ভারতের পর্যটনের ইতিহাসে কালো দিন। পর্যটকদের লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা আগে কখনও হয়নি। জীবন বাজি রেখে আগামী দিনে কেউ কাশ্মীরে ঘুরতে যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার জাতীয় কমিটির সদস্য অনিল পাঞ্জাবি বলেন, এই ঘটনায় পর্যটকরা আতঙ্কিত। এভাবে পর্যটকরা টার্গেট হলে পর্যটন ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হবে। ট্যুরিজম ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়বে। আমরা নিজেরাই যদি ‘কমফর্ট’ না হই, তাহলে কী করে পর্যটকদের আগামী দিনে পাঠাব? ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার কর্তা মানব সোনি বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে শুধু দুঃখজনক বা মর্মান্তিক শব্দবন্ধে বেঁধে রাখলে হবে না, পর্যটকদের উপর হামলার ফলে এই শিল্পে কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল, তা কিছুদিনের মধ্যেই টের পাওয়া যাবে।
সামনেই স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়তে চলেছে। এই সময় দেশের সেরা পর্যটন ক্ষেত্র কাশ্মীর-শ্রীনগরে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে ভ্রমণ পিপাষুদের। এই তালিকায় বাঙালি পর্যটকদের নাম থাকে সবার আগে। গ্রীষ্মকালীন জনপ্রিয় পর্যটন স্থলগুলি পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে। কিন্তু পর্যটকদের উপর এভাবে হামলা বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পর্যটন সংস্থাগুলি বলছে, এই গ্রীষ্মের মরশুমে ৫০-৬০ শতাংশ রাজস্ব আসে পর্যটন স্থলগুলি থেকে। কিন্তু মরশুমের দোরগোড়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনার সুদূরপ্রসারি প্রভাব পড়তে চলেছে পর্যটন শিল্পে। প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে শ্রীনগরে সরাসরি দু’টি সংস্থার বিমান যাওয়া-আসা করে। ফলে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পর্যটকরা কাশ্মীরমুখী হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকিট কেটে রেখেছেন, তাঁরাও আজ আতঙ্কিত।