পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতার এক ব্যক্তি। নিহতের নাম বিতান অধিকারী। তাঁর বাড়ি কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা রোডে। সম্প্রতি ওই ব্যক্তি পরিবার নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে অন্যদের মতো তিনিও জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সোহিনী অধিকারী এবং তাঁর সন্তান। বিতানের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে তাঁর শোকার্ত স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
হামলার খবর পেয়ে পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁরা আহতদের উদ্ধার করে নিচে নামায়। স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন। তাঁরা ঘোড়ায় চাপিয়ে অনেককে নামাতে সাহায্য করেন। পরবর্তীতে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আহতদের উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, স্ত্রী সোহিনী অধিকারী এবং তাঁর তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন বিতান। মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসারণ উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রথমে গুরুতর জখম হয়েছিলেন বিতান। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। বেলা আড়াইটে নাগাদ, একেবারে সাধারণ পোশাকে ওই এলাকায় এসে পর্যটকদের উপর গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। স্ত্রী ও ছেলে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচলেও, বিতান নিহত হন এই হামলায়।
প্রসঙ্গত এই নারকীয় হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৮ জন পর্যটকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও বেশি। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই উত্তর ভারতের পর্যটক বলে প্রথমে জানা গেলেও, পরে জানা যায়, বেশ কিছু বাঙালি পর্যটকও সেখানে রয়েছেন। বিতান তাঁদেরই একজন।