মে মাসে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাকি ৫০ শতাংশ টাকা প্রদানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
গত ডিসেম্বরে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ৫০ শতাংশ টাকা প্রথম কিস্তিতে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তার প্রত্যেকেই ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। আগামী মে মাসে আরও ৫০ শতাংশ টাকা পেতে চলেছেন উপভোক্তারা। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মেদিনীপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামীতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই তাঁদের প্রথম কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য সরকার। সব মিলিয়ে দুই বছরে ২৮ লক্ষ উপভোক্তা বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি পেতে চলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার গোয়ালতোড়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের এই ধামাকা ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্যকে বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আবাসে ১ নম্বর থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছর ধরে কেন্দ্র টাকা দেয়নি, বাংলার গরিব মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই আমরা নিজেরাই ওই বাড়ি তৈরি করে দেব বলেছিলাম। আমরা কথা দিলে আমরা কথা রাখতে জানি।’
প্রসঙ্গত এদিনের অনুষ্ঠান থেকে আট লক্ষর বেশি মানুষকে সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি গোয়ালতোড়ে ১১৬ মেগাওয়াটের সোলার এনার্জি পার্কের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ১ হাজর ৮৫০ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা খরচ করে ২১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১০৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৯১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে আবাস যোজনা নিয়ে তাঁর এই জোড়া ঘোষণার মধ্যেও সরকারি প্রকল্পে ঘুষ দেওয়া নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কাউকে এক পয়সাও দেবেন না। কেউ যদি চায়, থানায় গিয়ে এফআইআর করবেন। এটা মানুষের অধিকার।’
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৪ বছরে মোট ৫৭ লক্ষ বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়িতে টর্নেডোয় যাঁদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদেরও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।