মেদিনীপুর কলেজ মাঠের প্রশাসনিক সভা থেকে মঙ্গলবার রিমোটের মাধ্যমে গোয়ালতোড়ের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন মমতা। এটি পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। জার্মান সংস্থার সহায়তায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে ১১২.৫ মেগাওয়াটের এই সৌর প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকা। ৪৩০ একর জমির উপর এই সোলার প্ল্যান্টটি গড়ে উঠেছে।
এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ অর্থ এসেছে জার্মানি থেকে। বাকি ২০ শতাংশ অর্থ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আরও ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতায় সম্প্রসারণের আশ্বাস পেয়েছে রাজ্য। মমতা আশ্বস্ত করেছেন, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন যত বেশি হবে, ততই বিদ্যুতের দাম কমবে। অর্থাৎ রাজ্যে বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হবে। পাশাপাশি গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমবে। এই শক্তি উৎপাদনে জলের ব্যবহার কম হবে। ফলে জল অপচয় আটকানো যাবে এবং কার্বন নিঃসরণও কমবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদন বর্তমানে ২৯১২ মেগাওয়াটে পৌঁছে গিয়েছে।
এ দিন মেদিনীপুরের অনুষ্ঠানে একযোগে ৩২১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে ১৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১২টি প্রকল্প এবং ৩৯১ কোটি টাকার ১০৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে। এই ৩২১ টি প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় আট লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। ভবিষ্যতেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সৌর প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। মমতা জানিয়েছেন, কংসাবতী ও মুকুটমণিপুরে ২০০ মেগাওয়াট, বক্রেশ্বরে ফ্লোটিং সোলার প্লান্টের মাধ্যমে আরও ২০০ মেগাওয়াট এবং পুরুলিয়ায় ১০০০