মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে বিভীষিকার সাক্ষী! আচমকা মত বদলে প্রাণরক্ষা কৃষ্ণনগরের দম্পতির...
আজকাল | ২৩ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাত দিন আগেই মধুচন্দ্রিমায় কাশ্মীর গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের বৌবাজারের বাসিন্দা সুদীপ্ত দাস ও দেবশ্রুতি দাস। পহেলগাঁওয়ের যে এলাকায় জঙ্গি হামলা হয়েছে সেটি 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে পরিচিত।
সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কোনও কারণবশত সেখানে না গিয়ে কিছুটা দূরে মন্দিরে ঠাকুর দর্শন করতে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই গুলির আওয়াজ শুনতে পান। গুলি ঝাঁজরা করে দেয় প্রায় ২৬টি তরতাজা প্রাণ। অল্পের জন্য রক্ষা পান দাস দম্পতি।
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রণাম করতে গিয়েই শুনতে পান হামলার কথা। ঘটনাস্থলে ফিরে এসে দেখেন লাশের সারি। তড়িঘড়ি ফিরে আসেন শ্রীনগরে। সেখানেই নিরাপদে রয়েছেন।
দেবশ্রুতি জানান, 'গত আট দিন ধরে কাশ্মীরে রয়েছি। ভীষণ আনন্দের সঙ্গে ঘুরেছি। কিন্তু জঙ্গি হামলার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত। যাদের সঙ্গে শোনমার্গ ঘুরলাম তাঁদেরই মধ্যে কেউ আর বেঁচে নেই সেটাই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।'
১৮ তারিখ চাকদহ থেকে ১৫-১২০ জনকে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন মানস দে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভালই আছেন সকলে।
পহেলগাঁওয়ের বেশির ভাগ জায়গাতেই ইন্টারনেট বন্ধ। সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে 'মিনি সুইৎজারল্যান্ডট ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরে এসেছেন।
লালপুরের সিংহ রায় দম্পতিও গিয়েছেন ঘুরতে। সকালবেলায় খাওয়া দাওয়া করে রওনা দিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে। মাঝপথ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা তাঁদের ফিরিয়ে দেন।
মঙ্গলবারের বিভীষিকার কথা তাঁরাও শুনেছেন। কোনও মতে প্রাণটুকু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেই শান্তি তাঁদের।