আদালত অবমাননা মামলা ঝুলেই রইল কলকাতা হাইকোর্টে। কেন কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি, তার উত্তর দেওয়ার বদলে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই মঙ্গলবার আদালতে প্রশ্ন তুলল স্কুল সার্ভিস কমিশন। একই প্রশ্ন তোলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। কলকাতা হাইকোর্টে কি আদৌ আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণযোগ্য, প্রশ্ন তোলে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশ পালন করতে কী করা হয়েছে, পাল্টা জানতে চায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার ফের মামলার শুনানি।
প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টও। সেই নির্দেশের পর আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে। কেন আদালতের নির্দেশ মানা হলো না, তা জানতে চায় কোর্ট। কিন্তু সে প্রশ্নের জবাবের বদলে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে এসএসসি।
কলকাতা হাইকোর্টে কি আদৌ আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করতে পারে? প্রশ্ন এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ের পরিমার্জন করার পরে এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ শুনতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন তোলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ জানায়, রায়ের কিছু অংশ পরিমার্জন হয়েছে, বাকি খারিজ। তাই এই মামলা আদালত শুনতে পারে না।
পাল্টা বিচারপতি বসাক প্রশ্ন করেন, ‘নির্দেশ পালন করতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? গ্রহণযোগ্যতাকে সরিয়ে রেখে আমরা দেখতে চাই কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এ দিন আদালতে বলেন, ‘সাংবিধানিক আদালতের নিজস্ব ক্ষমতা আছে অবমাননার মামলা শোনার৷’ আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি। এই আদালতে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্নে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।