কয়েকদিন আগেই দিদি-জামাইবাবু গিয়েছিলেন কাশ্মীর ঘুরতে। মঙ্গলবার যখন পহেলগামে মুড়িমুড়কির মতো গুলি চলেছে, সেই সময়েই পহেলগামেই থাকার কথা ছিল তাঁদের। এক দিকে জঙ্গি হামলা, অন্য দিকে দিদির সঙ্গে কথা না হওয়া— সব মিলিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন লাটাগুড়ির বাসিন্দা প্রবীর চক্রবর্তী। পরে দিদি-জামাইবাবুর খবর পান তিনি, অল্পের জন্য বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন। শুনে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন প্রবীর। কী অবস্থায় ছিলেন তাঁর দিদি-জামাইবাবু?
ক্রান্তি ফাঁড়ি এলাকার থাকে লাটাগুড়ির চক্রবর্তী পরিবার। প্রবীর জানান, তাঁর দিদি লাটাগুড়ি হাই স্কুলে চাকরি করতেন। অবসর নিয়েছেন বছর কয়েক আগে৷ মোট দশ জনের দল শ্রীনগর গিয়েছেন। ওই দলে রয়েছেন লাটাগুড়ি হাই স্কুলের শিক্ষিকা কেকা ঘোষ মিত্র এবং তাঁর পরিবারও।
পহেলগামের ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চক্রবর্তী পরিবার। কিছুক্ষণ পরে ফোনে যোগাযোগ হয়। ফোনে কথা বলে তিনি জানতে পারেন তাঁর দিদি ও জামাইবাবু সুস্থ রয়েছেন৷ অবশেষে স্বস্তি ফেরে চক্রবর্তী পরিবারে। তিনি জানান, পহেলগামে যেখানে এই হামলা হয়েছে তার থেকে কিছুটা দূরেই ছিলেন তাঁর দিদি-জামাইবাবু। তাঁদের দলের ২ জনের ওই এলাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। প্রবীর বলেন, ‘আমরা খুব চিন্তিত ছিলাম। পহেলগামে ছিল সেদিন। ওদের হোটেল বন্ধ করে দিয়েছিল। হোটেল থেকেই সব প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়েছিল।’
জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর তরফে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। ওই দলে রয়েছেন প্রবীরের দিদি-জামাইবাবুও। শ্রীনগর থেকে দিল্লি পর্যন্ত আকাশপথে যাবেন তাঁরা। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি ফিরবেন তাঁরা।