কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত রাজ্যের বাসিন্দাদের মরদেহ বুধবার রাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। সমস্ত রকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এ দিন সন্ধ্যায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বেশ কয়েকজন পর্যটকও আটক রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সরকারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা নিরাপদেই আছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হোক। জঙ্গি কার্যকলাপকে বরদাস্ত করার প্রশ্নই ওঠে না।’
মমতা এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের কোনও জাত হয় না, এদের ক্ষমা করা যায় না।’ যদিও, কাশ্মীরের মতো জায়গায় এত সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও জঙ্গি হামলার নিন্দা করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘এতক্ষণ সময় লেগেছে, বেছে বেছে ওরা হত্যা করেছে। ওখানে তো অনেক আর্মি ছিল, সীমান্ত এলাকা তো এমনিতেই সেনসেটিভ। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি হোক।’
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরকারিভাবে ২৬ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, শীঘ্রই কড়া জবাবের ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে।
মমতা এ দিন এক্স হ্যান্ডলে আগেই জানিয়ে দেন, ‘কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আমাদের রাজ্যের ৩ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। দিল্লি বিমানবন্দরে আমাদের প্রশাসন কর্তৃক নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তা এবং তাঁদের কলকাতায় নিয়ে আসার সকল ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করছি এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।’