সময়ের ব্যবধান মাত্র ১ ঘণ্টা। অকুস্থল থেকে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে তখন হোটেলের পথে তাঁরা। পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে তখনও চলছে নারকীয় গুলিবর্ষণ। ওইটুকু সময়ের ব্যবধানেই প্রাণে রক্ষা পেলেন বারাসতের চার পর্যটক। সন্ত্রাসবাদী হামলার খবর জানাজানি হতেই অবশ্য সকলে নেমে এসেছেন গুলমার্গে।
বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা নবনীতা ভট্টাচার্য বাগচী ও তাঁর স্বামী শান্তনু বাগচী, ছোটবেলার বান্ধবী অর্পিতা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সত্যব্রত ভট্টাচার্যও গিয়েছিলেন কাশ্মীর ভ্রমণে। হামলার সময়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র কিছুটা দূরেই ছিলেন। আর কিছু সময়ের এদিক ওদিক হলেই ঘটতে পারত চরম বিপদ। কয়েক মিনিট আগে যে স্বপ্নের ভূস্বর্গ দেখে এসেছিলেন চোখের সামনে, তা যেন মুহূর্তেই বদলে যায় আতঙ্কের মৃত্যুপুরীতে। মনে হতে থাকে, ভূস্বর্গ সত্যিই ভয়ঙ্কর...!
নবনীতার ছেলে অনুভব বাগচী এ দিন বলেন, ‘ভাগ্য না থাকলে বাবা-মা আর ফিরতেন না। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে এত বড় বিপদ থেকে তাঁরা অক্ষত বেরিয়ে এসেছেন। ঘটনার দিন সকাল বেলা প্রথমে গাড়িতে ও তারপর ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছন বৈসরন ভ্যালি। তার পরেই ঘটে নৃশংস এই হত্যালীলা।’ ঘটনার পরেই দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে নিরাপদে নেমে এসেছেন তাঁরা। বর্তমানে কাশ্মীরে গুলমার্গে আটকে রয়েছেন।
বর্তমানে সকলেই সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। গুলমার্গ এলাকায় সেনা কর্মীদের কড়া নজরদারি চলছে।