জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাঁদছে গোটা ভারত! সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না! সন্ত্রাসীর কোনও ধর্ম হয় না! একজন নিরপরাধকে হত্যাও যা, গোটা মানবজাতিকে ধ্বংস করাও তা। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু ২৬। আহত ১২। সারা দেশে শোকের ছায়া। সেই শোকে সামিল মসজিদও। আগামী শুক্রবার জুম্মার প্রার্থনায় দেশের সাড়ে পাঁচ লক্ষ মসজিদে স্মরণ করা হবে নিহতদের। এবার প্রতিবাদ জানাল জামাআতে। দক্ষিণ কাশ্মীরে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও দ্রুত বিচারের দাবি জানালেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের সভাপতি সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি।
জামাআতে ইসলামী হিন্দের সভাপতি সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার সংঘটিত নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই নির্মম হামলায় একাধিক নিরপরাধ মানুষ, যার মধ্যে বিদেশি পর্যটকেরাও রয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি হৃদয়বিদারক এই ঘটনার প্রতি গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচারের জোরালো দাবিও জানান।
সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন, আমরা পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। এমন বর্বর কাজের কোনও ন্যায়সঙ্গত কারণ হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অমানবিক। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
জামাআতে ইসলামী হিন্দের সভাপতি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে আহ্বান জানান, তারা যেন নিরপেক্ষ কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের সুবিচার নিশ্চিত করে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করে এবং বিপন্ন সম্প্রদায়গুলির যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, তিনি নাগরিক সমাজ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।
প্রসঙ্গত, আজ সকালেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম ইমাম সংগঠনের তরফে মৌলানা উমর আহমেদ ইলিয়াসি জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন। ইমামের বাড়িতে সমস্ত ধর্মনেতারা জমায়েত হয়ে কাশ্মীরে নিহতদের জন্য় বিশেষ প্রার্থনা করেছেন। সন্ত্রাসবাদকে তীব্র ভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। একজন সন্ত্রাসবাদী সব সময়ই এক সন্ত্রাসবাদী। ধর্মপরিচয় জেনে তারপর নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা মতো ঘৃণ্য বিষয়কে ইসলাম ধিক্কার জানায়। একটি মানুষকে হত্যা করাও যা, গোটা মানবজাতিকে হত্যা করাও তা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী শুক্রবার, জুম্মার বিশেষ প্রার্থনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। সারা দেশের সাড়ে ৫ লক্ষ মসজিদ থেকে এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। ওইদিনই ওই সাড়ে ৫ লক্ষ মসজিদ থেকেই আগামীদিনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা কীভাবে লড়বেন, সেই কথাও জানাবেন ইমামেরা। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত আহত ব্যথিত ইসলাম ধর্মগুরুরা জানাচ্ছেন-- কাশ্মীর এখন উন্নতি করছে, পর্যটকেরা যাচ্ছেন। তবে তা হয়তো আমাদের প্রতিবেশী ও বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের না-পসন্দ। তাই তারা চাইছে, মানুষ যাতে কাশ্মীরে না যান। প্রধানমন্ত্রী মোদীজি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ার কথা বলেছেন। আমরা একযোগে একসঙ্গে সেই লড়াই লড়ব।