• সময়ের একটু এদিক-ওদিক, বরাতজোরে বাঁচলেন ‘সারেগামাপা’ চ্যাম্পিয়ন
    এই সময় | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • বিয়ের পর প্রথমবার সস্ত্রীক কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছেন ‘সারেগামাপা’ চ্যাম্পিয়ন সৌরভ সরকার। কিন্তু মধুচন্দ্রিমার আনন্দ যে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্কে বদলে যাবে তা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বুঝতে পারেননি তাঁরা। মঙ্গলবার জঙ্গি হামলার সময়ে পহেলগামের ‘মিনি সুইজ়ারল্যান্ড’-এই থাকার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু হোটেল থেকে বেরোতে দেরি হওয়ায় একটুর জন্য তাঁরা বেঁচে গেছেন বলেই মনে করছেন এই দম্পতি।

    হুগলির বাড়িতে রয়েছেন সৌরভের বৃদ্ধা মা। পহেলগামের একটি হোটেল থেকে নিজের মা-কে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সৌরভ সরকার। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভোরেই তাঁদের জন্মুর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা। কিন্তু এ দিকে যতক্ষণ না ছেলে ও বৌমা বাড়ি ফিরে আসছেন ততক্ষণ যেন কিছুতেই দুশ্চিন্তা কাটছে না সৌরভের মা সুপর্ণা সরকারের।

    ২০০৭ সালে সারেগামাপা চ্যাম্পিয়ন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে এখন পহেলগামের একটি হোটেলে রয়েছেন। সেই হোটেলে তাঁদের সঙ্গে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন মোট ৪০ জন। মঙ্গলবার সকালেই ‘মিনি সুইজ়ারল্যান্ড’ ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। তবে টুর গ্রুপের বাকি পর্যটকরা হোটেল থেকে বেরোতে দেরি করতেই যেন শাপে বর হয় দম্পতির। তাঁরা যখন হোটেল ছেড়ে বেরোবেন ঠিক সেই সময়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে খবর আসে পহেলগামের বৈসরন ভ্যালিতে জঙ্গি হামলা হয়েছে। ওই জায়গায় যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোন্নগরের দম্পতি মনে করছেন যদি মঙ্গলবার সকালে তাঁরা সময় মতো হোটেল থেকে বেরোতেন তাহলে তাঁদেরও পরিণতি হয়তো ওই ২৮ জনের মতোই হতো।

    সংগীতশিল্পী সৌরভ সরকার জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর থেকে তাঁরা সকলেই প্রচন্ড আতঙ্কে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁরা জম্মুতে গিয়ে সেখান থেকে কোনও রকমে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরবেন। এখন গৃহবন্দী অবস্থায় তাঁদের একটাই চিন্তা কী ভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে সকলে বাড়ি ফিরে আসবেন। সৌরভ বলেন, ‘একবার যখন হামলা হয়েছে তখন জঙ্গিরা এখনও হয়তো স্থানীয়দের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই কারও উপরেই বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।’ সৌরভ সরকারের মা সুপর্ণা সরকার এখন পথ চেয়ে বসে রয়েছেন তাঁর ছেলে ও বৌমার ফেরার অপেক্ষায়।

  • Link to this news (এই সময়)