‘আপনি প্রতারক!’ কলকাতা পুলিশকেই ডিজিটাল অ্যারেস্ট, তারপর যা হল জানলে চমকে যাবেন
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
ডিজিটাল অ্য়ারেস্ট নিয়ে সবসময় সতর্ক করে পুলিশ। আর সেই পুলিশের আধিকারিককেই ডিজিটাল অ্যারেস্ট করল প্রতারকরা। একেবারে অবাক করা ঘটনা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের এক সাব ইনসপেক্টর। তাকে প্রায় আড়াই মাস ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখা হয়েছিল। TRAI-এর অফিসার পরিচয় দিয়ে তাকে টুপি পরিয়েছিল প্রতারকরা। এরপর তার কাছ থেকে ১৭.৬ লাখ টাকা দফায় দফায় হাতিয়ে নেয়।
আর সাইবার প্রতারকরাই উলটে ওই পুলিশ আধিকারিককে জানিয়েছিল আপনি সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। আর ওই আধিকারিক পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য লাখ লাখ টাকা দিয়ে ফেলে প্রতারকদের। ওই পুলিশ আধিকারিকের বয়স ৪৬ বছর। গোটা বিষয়টি যাতে মিটিয়ে নেওয়া হয় সেকারণেই এই টাকা দেন ওই আধিকারিক।
প্রথম জানুয়ারি মাসে ওই অফিসারকে ফোন করা হয়েছিল। তখনই তাকে বলা হয়েছিল আপনি সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগও তোলা হয়। হোয়াটস অ্যাপ ভিডিয়ো কলের মাধ্য়মে তাকে জাল কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। সেখানে সিবিআই, ইডি, আরবিআইয়ের ছাপ দেওয়া কিছু কাগজ দেওয়া হয়। তাকে বলা হয়েছিল ৬৭টি মামলায় আপনার নাম রয়েছে।
এদিকে একজন প্রতারক আবার নিজেকে আইপিএস অফিসার হিসাবে পরিচয় দেন। নিজেকে সিবিআইয়ের রাকেশ কুমার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল প্রতারক। তাকে বলা হয়েছিল আপনাকে এখনই গ্রেফতার করতে হবে।
এদিকে প্রায় আড়াই মাস ধরে ফোন করে করে ওই অফিসারকে চূড়ান্ত চাপে রাখে প্রতারকরা। তিন দফায় টাকা নেওয়া হয়। প্রথম দফায় ৯.৫ লাখ টাকা। সেটা নেওয়া হয়েছিল ৩০ জুন তারিখে। ২ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। এরপর ৩ মার্চ নেওয়া হয়েছিল ৩.১ লাখ টাকা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, একটা জাল আইডি কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেটা দেখিয়েই তাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল মুম্বই সাইবার ক্রাইম ইউনিটের তিনি অফিসার। এরপরই তাকে নানাভাবে ভয় দেখানো শুরু হয়।
আতঙ্কে টাকা দেওয়া শুরু করেন ওই অফিসার। তিনি আতঙ্কে কাউকে কোনও কথা বলতে চাননি। মূলত পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে তিনি কিছু বলতে চাননি। তদন্তে দেখা গিয়েছে, জয়পুর, যোধপুর আর অসমের তেজপুরের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে গিয়েছে ওই টাকা। পুলিশ প্রতারকদের খোঁজ করছে।