কফিনবন্দি দেহ ফিরল কলকাতায়, কাশ্মীরে জঙ্গির গুলিতে মৃত বাঙালি পর্যটকরাও
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছে তিন বাঙালি পর্যটকেরও।
কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় মৃত বাঙালি পর্যটকদের দেহ। নিহতের নাম কলকাতার বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা বিতান অধিকারী। বেহালার শখের বাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ। তাঁদের দেহ একে একে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জন মিশ্রের দেহ রাঁচি হয়ে বাংলায় আসার কথা রয়েছে। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের পাশাপাশি একাধিক বিজেপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এই কলকাতা বিমানবন্দরে।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মরদেহ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যেতেই স্লোগান তোলেন শুভেন্দু, পাকিস্তান মুর্দাবাদ। পাশাপাশি লোকজনও সেই স্লোগানে গলা মেলান।
পুলিশ ও সিআইএসএফের উদ্যোগে সেই দেহ বিমানবন্দর থেকে বের করা হয়। এরপর ফুলে ঢাকা কফিন গাড়িতে চাপিয়ে তা রওনা দেয় বাড়ির দিকে। বাড়িতে অপেক্ষায় পরিজনরা।
এদিকে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধায় বুধবার রাতে নীরবতা পালন করেন এসএসসির চাকরিহারারাও।
বৈষ্ণবঘাটায় ফিরল বিতান অধিকারীর দেহ। ফ্লোরিডা থেকে এসেছিলেন নিজের বাড়িতে। এরপর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে।
বেহালার শখের বাজারে ফিরল সমীর গুহর দেহ। তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে চাকরি করতেন। কাশ্মীরে জঙ্গির গুলিতে মৃত্যু হল তাঁরও।
নিজের পাড়ায় ফিরল দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। পাড়ার লোকজনেরও চোখে জল। তার সঙ্গে একরাশ ঘৃণা জঙ্গিদের প্রতি। যাদের জন্য় প্রাণ গেল এতজন পর্যটকের।
মণীশ রঞ্জনের দেহ ফিরবে কাল। এমনটাই সূত্রের খবর।
বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা কাশ্মীরে। কিন্তু সেখান থেকে ফিরল নিথর দেহ। একের পর এক গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। পরিবারের লোকজনের সামনে গুলি করে খুন করা হয়েছে। কথা ছিল কাশ্মীর বেড়িয়ে খুশি মনে ফিরবেন তাঁরা। কিন্তু সেটা আর হল না। ফিরল তাঁদের নিথর দেহ। গোটা পাড়া শোকে পাথর।