পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে যানবাহন এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। বুধবার নবান্নে বৈঠকে বসেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। ওই বৈঠকেই এই নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে মন্দির চত্বরে ভিড় সামলাতে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। এর ফলে পর্যটন ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল হবে বলে আশা করছে রাজ্য প্রশাসন।
পুরীর জগন্নাথধামের আদলে সৈকতশহর দিঘায় তৈরি হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। সেই মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে দিঘা বাঙালির কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান। তবে শুধু পর্যটনকেন্দ্রই নয়, দিঘাকে এ বার ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবেও গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে গত সপ্তাহেই নবান্নে একটি প্রস্তুতি এবং পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগে যাতে কোনও খামতি না-থাকে, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে পুলিশ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, দমকল, তথ্য ও সংস্কৃতি— সমস্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার মন্দির প্রাঙ্গণে যানবাহন এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিসভা।
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এবং বিদ্যমান ১১৪টি শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে হুগলি জেলার সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ১২টি অতিরিক্ত প্যারামেডিকেল পদ সৃষ্টির অনুমোদন। এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষকে আরও দ্রুত এবং দক্ষ ভাবে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি পরিবহণ বিভাগের জন্য দু’টি নতুন আইন আধিকারিক পদ তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।