• বেআইনি যানবাহন বিক্রি রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের
    আজকাল | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি: কাজে গরমিল ? কারচুপি নিয়মে? এবার বড় পদক্ষেপ। নজরে এসেছে, একপক্ষ প্রদেও জি এস টির একটা বড় অংশ আর জমা দিচ্ছেন না। নিয়ম অনুযায়ী ডিলার তার লভ্যাংশের ২৮ শতাংশ জি এস টি দেওয়ার কথা। এক্ষেত্রে সাব- ডিলারকে গাড়ি দেওয়ার সময় ডিলার তার বিলে লভ্যাংশের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ছাড় দেখিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। বাকি লভ্যাংশের উপর জি এস টি জমা করে দায় সেরে ফেলছে। 

    দেখা যাচ্ছে, সাব-ডিলার আবার সেই গাড়ি বিক্রির সময় ক্রেতার কাছে বিক্রিত মূল্যের উপর দ্বিতীয়বার জি এস টি চার্জ করছে। ফলে ডিলারের এই কার্যকলাপে রাজ্য কেন্দ্র দুইই প্রাপ্য জি এস টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় গাড়ি বিক্রি সম্পূর্ণই বেআইনি হয়ে আসছে, দাবি করছেন জেলার একাধিক বড় ডিলার। তাঁদের অভিযোগ, মোটর ভেহিকেল আইনে সাব-ডিলার বলে কিছু হয় না।

    ট্রেড সার্টিফিকেট ব্যতীত শুধু ট্রেড লাইসেন্সের বলে গাড়ি বিক্রি করা বেআইনি। তার উপর আবার জি এস টির সুবি্ধা নেওয়া অপরাধ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত গাড়ি বিক্রি করার লোভে সাব-ডিলার তৈরি করেছে। তারা অধিক মুনাফার লক্ষ্যে জেলার বাইরেও গাড়ি দিয়ে দিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করছে না। অদ্ভুত ভাবে সাব-ডিলারের বিল চালানের উপর ভিত্তি করে ফাইন্যান্স কোম্পানি লোনও দিয়ে দিচ্ছে। একটি বিলের উপর ফাইন্যান্স হচ্ছে, অথচ অন্য বিলের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। কীভাবে সম্ভব প্রশ্ন একাধিক ডিলারের।

     এদিন রাজ্যের দেওয়া সার্কুলারে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে পরিবহন দপ্তরের নজরে পড়েছে রাজ্য জুড়ে ডিলার দ্বারা বিপুল সংখ্যক যানবাহন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ক্রেতার কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। মোটর ভেহিকেল আইনে পরিষ্কার বলে দেওয়া আছে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি এভাবে দেওয়া যায়না।  রাজ্য পরিবহন দপ্তরের পদক্ষেপে অভিযোগকারীরা খুশি। বলছেন, এরকম গজিয়ে ওঠা একাধিক কোম্পানির গাড়ির শোরুম গুলিও যে বেআইনি তা পরিবহন দপ্তরের নোটিসেই পরিষ্কার হয়ে গেছে।
  • Link to this news (আজকাল)