সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: হোমস্টে তৈরি হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম দেওয়া কালচিনির ‘বনছায়া’ গ্রামে পর্যটকরা আসা শুরু করেছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের কাছে খবর এসেছে, হোমস্টেগুলিতে বুকিং হচ্ছে। বনছায়া গ্রামে পর্যটকরা আসতে শুরু করায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে বনছায়া গ্রামের হোমস্টেতে পর্যটকদের বুকিং শুরু হয়েছে। আমাদের আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বনছায়া গ্রামে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়তে থাকবে। সেই জন্য যতবেশি সম্ভব বনছায়া গ্রামে আরও বেশি করে হোমস্টের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
কালচিনির ভাটপাড়া চা বাগানের কাছে বনছায়া গ্রামে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বনবস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। শুধু পুনর্বাসনই নয়, রাজ্যের নির্দেশে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দাদের হোমস্টের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেখানে ১০টি হোমস্টের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। হোমস্টে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আরও ১৯টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। প্রশাসন সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখছে।
জেলা প্রশাসন ট্যুরিজম প্রমোশন স্কিমে বনছায়া গ্রামটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে। সেই জন্যই ওই স্কিম থেকে হোমস্টে তৈরিতে দুই কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কমিউনিটি হল, মুক্তমঞ্চ ও ইকো পার্ক তৈরি হচ্ছে। মহিলাদের হসপিটালিটি ও ট্যুরিস্ট গাইডের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে প্রশাসন থেকে। ইকো পার্কের জন্য এক কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
তবে প্রশাসন মনে করছে, আগামী পর্যটন মরশুম থেকে বনছায়া গ্রামে পর্যটকদের ঢল নামতে পারে। সেই লক্ষ্যেই বনছায়াতে আরও বেশি করে হোমস্টের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বনছায়ার পাশেই আছে ভুটান পাহাড়, গুম্ফা, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের প্রাচীন গুহা, জয়গাঁ ও রায়মাটাং। এসব দ্রষ্টব্য স্থানগুলি কাছাকাছি থাকায় প্রশাসন মনে করছে সামনের পর্যটন মরশুম থেকে বনছায়ায় পর্যটকদের ঢল নামতে পারে। নিজস্ব চিত্র।