বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে জেলার নেতাদের নাম, অস্বস্তিতে তৃণমূল
বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বছর গড়ালেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার সন্দেহে কোচবিহারে গ্রেপ্তার হচ্ছেন একেরপর এক তৃণমূল নেতা। কেউ মাদক কারবারে, কেউ বা ধর্ষণের অভিযোগে। কেউ আবার এলাকা ছেড়েই পলাতক। কখনও শীতলকুচি ব্লকের গোলেনাওহাটি পঞ্চায়েতের পাঠানটুলি গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ব্রাউন সুগার বানানোর কারখানা, কখনও নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারে যুক্ত সন্দেহে এসটিএফের হাতে ধরা পড়ছেন গীতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সদস্য। সম্প্রতি ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূলের এক নেতা। স্বাভাবিকভাবে জেলায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি ড্যামেজ হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। এ নিয়ে দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে চলছে কানাঘুঁষো। এমন ঘটনা ঘটলে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস যে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে, তা নয়। কারণ, জেলার নয়টি বিধানসভার মধ্যে ছ›টি বিজেপির দখলে। রাজ্যেও বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদলকে বিরোধীদের রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। তার প্রভাব জেলায় পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় দলের ভাবমূর্তি সঠিক রাখাটা জরুরী বলেই মনে করেন দলের একাংশ। কারণ কোচবিহারে দলের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে আসছে। একাংশ নেতৃত্ব জেলা কার্যালয়ে যাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। তারওপর মাদক পাচার, ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে দলের কিছু নেতার। এতেই জেলায় দলের মুখ পুড়ছে। বিরোধীরা এগুলিকে হাতিয়ার করছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের দাবি, দল এসব ঘটনা সমর্থন করে না। এমন বিষয় সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই দল কড়া পদক্ষেপ করছে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেভাবেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা নেই। কে কোথায় গোপনে কি করছে তা কিভাবে জানা যাবে? এসব ধরা পড়ার পর জানা যায়। যখনই জানা যাচ্ছে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মানুষ অর্থের পিছনে ছুটছে, মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। যতক্ষণ না ধরা পড়ছে ততক্ষণ কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, নেতাদের হাত মাথায় না থাকলে এসব কাজ করতে কেউ সাহস পায়? এতে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে।