বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিকল্প ক্যাম্পাস’ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ডিএম
বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, পতিরাম: নতুন শিক্ষাবর্ষে কয়েকটি বিষয় চালু করতে চাইছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিকাঠামো। ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত জায়গায় এখনও প্রাচীর ছাড়া কিছু হয়নি।
বর্তমান জায়গায় কিছুতেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত ক্লাসরুম, অফিস ও ক্যাম্পাস চেয়ে বিকল্প স্থানের জন্য জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রণব ঘোষ। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিকল্প ক্যাম্পাস’ নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক। বৈঠকে নতুন ক্যাম্পাসের জন্য বিকল্প জায়গা নিয়ে আলোচনা হবে। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণার কথায়, আগামী শনিবার উপাচার্য এবং অন্যদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছি। ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। উপাচার্য বলেন,আপাতত বালুরঘাটের বিএড কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। সেখানে আমরা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পারছি না। তাই স্থায়ী জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত বিকল্প জায়গায় ক্লাস ও ক্যাম্পাসের জন্য নতুন জায়গা পেতে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলাম। নতুন জায়গা পেলে আমরা নতুন বিষয় চালু করতে পারব।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাহিনগরের যে জায়গা নির্ধারণ হয়েছে, সেখানে প্রাচীর ছাড়া কিছুই হয়নি। নতুন উপাচার্য এসে ওই জায়গাতে কাজ শুরুর জন্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের চিঠি দিয়েছেন। সেখানে নতুন ভবন তৈরি হতে কম করে তিনবছর লাগবে। তাই আপাতত নতুন পরিকাঠামোযুক্ত একটি জায়গা চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বালুরঘাটের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র চেয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তা খারিজ করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তাই নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের জন্য। উপাচার্য এনিয়ে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন। মাহিনগরেই নির্ধারিত জায়গার পাশে একটি কৃষিভবনের পরিত্যক্ত জায়গা চেয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সমীর সাহা ও বিশ্বদ্বীপ বর্মনের দাবি, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গাটি ক্যাম্পাস বলে মনে হয় না। তাই নতুন জায়গায় ক্যাম্পাস হলে খুব ভালো হবে।
বিগত দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে একই রকম সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তৎকালীন উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বালুরঘাটের গার্লস কলেজের একটি হস্টেলে অফলাইন ক্লাস চালু করেছিলেন। কিন্তু ওই জায়গা থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাতে হয়। বালুরঘাট পুরসভার কাছে একটি ভবন নিয়ে চুক্তি সম্পূর্ণ করলেও পরবর্তীতে ওই বিল্ডিং পায়নি। এরপর নানা জায়গায় ঘুরে অবশেষে বিএড কলেজের পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঠাঁই নিতে হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য নতুন জায়গার সন্ধান শুরু করেছেন। নতুন জায়গা পেলে নতুন পাঁচটি বিষয় চালু করা যাবে বলে আশা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।