• মাথাভাঙায় ফের বাইসনের আতঙ্ক, মিলল পায়ের ছাপ
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা শহরে এখনও জিইয়ে বাইসনের আতঙ্ক। তার জেরে মঙ্গলবারের পর বুধবারও শহর ও সংলগ্ন এলাকায় দিনভর বাইসনের আতঙ্ক ছড়াল। যদিও বনদপ্তর জানিয়েছে, রাতভর নজরদারি চালানোর পর খোঁজাখুঁজি করেও বাইসনের দেখা মেলেনি। তবে কিছু পায়ের ছাপ দেখে অনুমান, সেটি মানসাই নদী পেরিয়ে মাথাভাঙা-২ ব্লক হয়ে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে চলে গিয়েছে। তারপরও বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। 

    মঙ্গলবার সকালে একেবারে মাথাভাঙা শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে একটি বাইসন। এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। এদিনও বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক রয়েছে।

    সেই দিন সকালে শহর সংলগ্ন ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায় পরিমল দাস নামে এক ব্যক্তিকে আহত করে বাইসন। ওই এলাকার কিরণ দাস নামে এক মহিলা জখম হয়। এরপর সেটি মানসাই নদীর পাড় দিয়ে ভেরভেরি মানাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। যদিও দিনভর তল্লাশি চালিয়েও বাইসনটিকে খুজে পাননি বনকর্মীরা। এনিয়ে শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাতে পচাগড় গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে মাইকযোগে এলাকায় প্রচার চালানো হয়। সকলকে সর্তক থাকতে বলা হয়। তবে রাতে বা এদিন সকাল থেকে কোথাও বাইসনের দেখা মেলেনি। 

    বনদপ্তর জানিয়েছে, পায়ের চিহ্ন দেখে অনুমান বাইসনটি মানসাই নদী পার করে মাথাভাঙা-২ ব্লকে গিয়েছে। পচাগড় গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যানী রায় বলেন, মঙ্গলবার ছাটখাটের বাড়ি হয়ে শহরের ১২নম্বর ওয়ার্ড ও ভেরভেরি মানাবাড়িতে বাইসন ঢুকে পড়েছিল। রাতে বাসিন্দাদের সর্তক থাকতে মাইক যোগে প্রচার চালানো হয়েছে। এদিন সকাল থেকে কোথাও বাইসনের দেখা মেলেনি। 

    মাথাভাঙার বনদপ্তরের রেঞ্জার সুদীপ দাস বলেন, রাতভর নজরদারি চালানোর পর এদিন সকালে পায়ের চিহ্ন দেখে আমাদের। শিলডাঙা এলাকায় পায়ের চিহ্ন ছিল। মনে হচ্ছে বাইসনটি তোর্ষা নদী পেরিয়ে পাতলা খওয়া জঙ্গলে চলে গিয়েছে। তারপরও আমরা নজরদারি রাখছি।
  • Link to this news (বর্তমান)