• জলপাইগুড়িতে নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের জেল
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ১৪ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের ২০ বছরের জেল হল। বুধবার ওই সাজা ঘোষণা করেন জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর। ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।

    মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, বাড়ি থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পুলিসে অভিযোগ জানায়। অভিযুক্তের বাড়ি ময়নাগুড়িতে। প্রথমে পুলিস খবর পায়, ময়নাগুড়িতেই মেয়েটিকে আটকে রেখেছে সে। সেইমতো সেখানে তল্লাশি চালায় পুলিস। কিন্তু নাবালিকার হদিশ মেলেনি। অভিযোগ দায়েরের একমাস পর পুলিসের কাছে খবর আসে, ধূপগুড়িতে মেয়েটিকে আটকে রেখেছে অভিযুক্ত। সেইমতো হানা দিয়ে একটি বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে পুলিস উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিস। মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষ্য দেন।

    সরকারপক্ষের আইনজীবীর দাবি, উদ্ধারের পর ওই নাবালিকাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করালে দেখা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। তদন্তে পুলিস জানতে পারে, মেয়েটি অভিযুক্তের পূর্ব পরিচিত। অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। মেয়েটি অরাজি হওয়ায় তার বাড়ির সামনে গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত যুবক। এরপর মেয়েটি বাড়ি থেকে বেরলে তাকে অপহরণ করে ধূপগুড়ির একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সেখানে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। এরই জেরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

    আদালতে জমা পড়া সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক অভিযুক্তকে পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করে এদিন ২০ বছরের জেল, সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বলে জানান মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী। জরিমানা অনাদায়ে আরও দু’মাসের জেল। সেইসঙ্গে নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
  • Link to this news (বর্তমান)