• পহেলগাঁওতে হোটেলে সারারাত বন্দি, সকালে সেনার সাহায্যে শ্রীনগরে
    বর্তমান | ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ডাঃ সাগর চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: একরাশ আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা নিয়ে কাশ্মীর সফরসূচি মাঝপথে বাতিল করে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছি। পয়লা বৈশাখ বাড়ি থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হই। গত ক’দিন ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ পহেলগাঁওয়ের হোটেলে চেক-ইন করি। আধঘণ্টা পরই সন্ত্রাসবাদী হামলা।

    বাইরে তখন সেনা জওয়ান ও পুলিসের ভারী বুটের শব্দ। ঘন ঘন সাইরেন বাজছে। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হোটেলে চলে আসেন জওয়ানরা। হোটেলে ঢুকেই তাঁরা নির্দেশ দেন, বাইরে কেউ বের হবেন না। হোটেলের দরজা জানালা খোলা যাবে না। সেনাবাহিনীর কড়া নির্দেশে তীব্র আতঙ্ক উৎকণ্ঠা নিয়ে সারা রাত হোটেলে বাবা, মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে বন্দি হয়ে থাকি। হোটেলে চেক-ইন করার পরও আতঙ্কে আমরা অনেকক্ষণ কিছু মুখে দিতে পারিনি। রাতে শুধু একটা রুটি ও সব্জি খেতে দেওয়া হয় আমাদের।

    উৎকণ্ঠার মধ্যেই রাতে ফের হোটেলে আসে সেনারা। এবার নির্দেশ, বুধবার সকাল ৬টায় সবাইকে হোটেল ছেড়ে শ্রীনগর চলে যেতে হবে। তাঁরাই সেখানে পৌঁছে দেবেন। রাতটা বিনিদ্র কাটালাম। সকাল হল। সেনার সহায়তায় পহেলগাঁও থেকে শ্রীনগরে এসে পৌঁছলাম।

    বাবা-মা ও স্ত্রী’কে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে এসে এমন কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে কল্পনাও করতে পারিনি। সফর বাতিল করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে বলে আফশোস নেই। কিন্তু পর্যটকদের উপর কেন এই নৃশংস হামলা, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
  • Link to this news (বর্তমান)